মোস্তাফিজুর রহমান: রাজধানীর গুলশানে স্বামীর কর্মস্থলে গিয়ে স্ত্রী মাহিমা খানম মুলান (২২) বোতল ভেঙে নিজের পেটে নিজেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেছেন।
স্বামী জোবায়ের হোসেন দাবি সে নিজের পেটে নিজে জখম করে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া।
তিনি বলেন, মৃতদেহ টি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞেসাবাদের জন্য স্বামী জোবায়ের হোসেন কে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি গুলশান থানা কে অভিহিত করা হয়েছে।
আটক স্বামী জানিয়েছেন, তারা সম্পর্ক করে গত মে মাসে বিয়ে করে উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চল নাবিল হাউজিংয়ে থাকেন। সেখানে মেয়ের ছোট বোনও থাকতো, এবং মাঝে মধ্যে তার মা সেলিনা আক্তার আসতেন।
জোবায়ের নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্সে ৪র্থ বর্ষে পড়াশোনা করেন। পাশাপাশি গুলশান ১১০ রোডে একটি "ড্রোব প্রোডাকশন মিডিয়া হাউজ" এ চাকরি করেন। মাহিমা তার বয় ফ্রেন্ডের সাথে সব সময় কথা বলতো, এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। এ-সব কারণে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়।
তিনি আরও বলেন, তার মা আমার পরিবারের লোকজন কে হুমকি দেয়, তাদের মেয়ের যদি কিছু হয়, তাহলে কাউকে ছাড়া হবে না।
সবদিক বিবেচনা করে আমি সিদ্ধান্ত নেই, তার সাথে আর সংসার করবো না। তাই আগে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে, পরে গত ২৬ ডিসেম্বর ডাকযোগে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেই।
আজ মাহিমা আমার অফিসের সামনে গিয়ে আমাকে ফোন করে ডাকে। আমি তখন অফিসে ছিলাম না। পরে সে সেখানে বোতল ভাঙাভাঙি করে, এবং নিজের পেটে নিজেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়। অফিসের লোকজনের কাছ থেকে সংবাদ শুনে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাত পৌনে এগারোটায় মৃত ঘোষণা করেন।
পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, মেয়েটি বোতল ভেঙে নিজে নিজেকে পেটে আঘাত প্রাপ্ত করেছে। তবে গোটা ঘটনা তদন্তের পর বলা যাবে।
প্রতিনিধি/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :