শাহীন খন্দকার: জাতির গৌরবময় মহান বিজয় দিবসে নগরবাসি এবং নতুন প্রজন্ম বিজয়ের আনন্দের এ দিনটিকে উদযাপন করলো আজ। বর্ণিল সাজে সেজেছে রাজধানী। বিজয় উদযাপনে নেমেছে সাধারণ মানুষের ঢল। এভাবেই বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রসহ পাড়া মহল্লা।
বিরত্বগাথা ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির জীবনে ফিরে আসে প্রতি বছর। আজ শুক্রবার বিকেলে শাহবাগ, রমনা পার্ক ও শিল্পকলা একাডেমি চিড়িয়াখানা, ধানমন্ডি ৩২, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা, চন্দ্রিমা উদ্যান, শ্যামলি শিশু মেলা হাতিরঝিলসহ রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, জনসমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে স্থানগুলো।
এসব জায়গায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন অনেকে। ঘুরতে এসেছে বাবা-মায়ের হাত ধরে শিশুরা। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ শ্রমজীবি মানুষেরা। মিরপুর থেকে ঘুরতে আসা আনিকা মুহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছোট বোনদের নিয়ে তিনি বিজয় দিবসের আনন্দ ভাগ করতে এসেছি আজকের ছুটির দিনে। শীতের পরন্ত বিকেলে ঘুরতে ভালোই লাগছে।
চন্দ্রিমা উদ্যানে শীতের পরন্ত এই বেলায় পরিবারসহ ঘুরতে ভালোই লাগছে বলে জানালেন ফাইজুল ফাহাদ। তবে সবচেয়ে উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে ছোট্ট শিশুদের। বাবা-মায়ের সঙ্গে চন্দ্রিমা উদ্যানে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঘুরতে এসেছে আদিরা ও আরিয়া ধানমন্ডি থেকে। আদিরা জানায়, ঘুরতে এসে আমার খুবই ভালো লাগছে। এখানে এসে নানারকম বেলুন দেখছি এবং কিনছি।
আজকে কি দিবস? বলতেই আদিরা বলে, আজ বিজয় দিবস। এই দিনে আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা অর্জন করে এবং আমরা উপভোগ করছি বিজয়ের স্বাদ। হাতিরঝিলজুড়ে চলছে বিজয়ের আনন্দ-উৎসব থেকে বাদ যায়নি। হাতিরঝিলের পুরো এলাকাজুড়েই মানুষ আর মানুষ, সবার মাঝেই বিরাজ করছে বিজয়ের আনন্দ।
অন্যদিকে জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, অসংখ্য মানুষ পরিবারের ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ভিড় জমিয়েছেন চিড়িয়াখানায়। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ চিড়িয়াখানা ছিল দর্শনার্থীতে পূর্ণ। চিড়িয়াখানা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার দর্শনার্থী প্রবেশ করেছেন।
এসকে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :