ডেস্ক রিপোর্ট: আজ মহান বিজয় দিবস, পরাধীনতার গ্লানি মুছে মুক্তির আনন্দে উজ্জ্বীবিত হওয়ার দিন। তাই তো দিবসটি ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে সরকারি ভবন ও স্থাপনা। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সূর্য ডুবতেই রাজধানীর সরকারি ভবনগুলো বিজয়ের রঙে ঝলমলিয়ে ওঠে। পতাকার লাল ও সবুজ রং ভবনগুলোতে দিয়েছে অনন্যতা। প্রতিদিনের পথিকের চোখে লাল-সবুজ বাতি যেন মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে।
এভাবেই সরকারি ভবন ও স্থাপনাকে লাল ও সবুজ বাতিতে সাজানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে সড়কদ্বীপগুলোকেও লাল-সবুজ বাতি দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। সচিবালয়ের বাইরে থেকে দেখা যায় এমন প্রায় সবগুলো ভবন লাল-সবুজ বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। আলোকসজ্জা করা হয়েছে বিদ্যুৎ ভবন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ভবনও। জিরো পয়েন্টে জিপিও ভবনও সাজানো হয়েছে রঙ্গিন বাতিতে।
সুপ্রিম কোর্ট, জাতীয় সংসদ ভবন, গণপূর্ত অধিদপ্তর ভবন, জাতীয় প্রেস ক্লাবও বর্ণিল সাজে সেজেছে।
এছাড়া বর্ণিল আলোকসজ্জায় সেজেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সায়েদবাদ বাস টার্মিনালের মূল ভবনটিতেও লাল-সবুজ বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এছাড়া শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরের জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এমএএস
আপনার মতামত লিখুন :