ডেস্ক নিউজ: শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীর বাতাসে দূষিত বস্তুকণার পরিমাণ এতই বেড়ে গেছে যে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায়  ঢাকার বাতাস ছিল বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে দূষণের দিক থেকে শীর্ষে। আর টিভি, সমকাল

এদিকে বিশ্বের বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) অনুযায়ী, সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর বায়ুর মান ছিল ৩৩৭, যাকে বায়ুমান সূচকে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। বায়ুদূষণের দিক থেকে পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থান এ সময় বিশ্বে দ্বিতীয়, বায়ুর মান ছিল ২২৬। বায়ুর মান ২০৬ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের করাচি। আর চতুর্থ অবস্থানে কলকাতা, সেখানে বায়ুর মান ১৯৮।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের এবং ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-৫০০ হলে 'বিপজ্জনক ’বলা হয়।

এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে এখন চলছে শুষ্ক মৌসুম। ফলে এখানে নির্মাণকাজ ও মানুষের নানা তৎপরতা বেড়ে গেছে। ধুলা ও ধোঁয়া বেড়েছে। এটিও বায়ুদূষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত জানিয়েছেন। 

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়নকেন্দ্রের (ক্যাপস) পরিচালক কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ভারতের দিল্লি, মুম্বাই, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, চীনের বেইজিং শহরে বায়ুর মান খুবই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পৌঁছে গেলে সেসব দেশের সরকার বিশেষ স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা জারি করে।

নাগরিকদের বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পেতে নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু বাংলাদেশে এই নিয়ে কোনো প্রচারণা নেই। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে রাজধানীসহ দেশের প্রধান শহরগুলোর বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা নেওয়া উচিত।

সিটি করপোরেশন ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পানি ছিটানোর যানবাহন আছে। সেগুলোকে ধুলাদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগানো উচিত। নির্মাণকাজ ও যানবাহনের ধুলা নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর হওয়ার তাগিদ দেন তিনি। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ

জেএ/জেএ