মাসুদ আলম: বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল একেবারেই কম। আবার কোনো কোনো রুটে বন্ধ ছিলো বাস। ফাঁকা সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেল। এ সুযোগে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া হাঁকাচ্ছেন চালকরা। অনেকে আবার বাধ্য হয়ে পায়ে হেটে গন্তব্যে গেছে।
এদিকে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস। ঢাকা থেকে কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না, আবার ঢাকায় প্রবেশও করছে না।
শনিবার সরজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, খিলক্ষেত, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, ফার্মগেট, শ্যামলী ও মহাখালীসহ বিভিন্ন স্থানে বাসের জন্য বিপুল সংখ্যক যাত্রীকে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে দুই একটা বাস আসলেও দরজা বন্ধ ছিলো। সবচেয়ে বেশে সমস্যায় পড়েছেন নারীরা। এছাড়া অধিকাংশ বাস কাউন্টার বন্ধ। অল্পসংখ্যক কাউন্টার খোলা থাকলেও টিকিট বিক্রি হচ্ছে না তেমন। রাস্তায় বাস চলাচলে কোনো বাধা না থাকলেও যাত্রী স্বল্পতায় বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাসগুলো। কোনো বাস ছাড়ার নির্ধারিত সময় ১০টায় হলেও সেটা ছাড়া হচ্ছে এক থেকে দুই ঘণ্টা দেরিতে।
আদ দ্বীন হাসপাতালের নার্স ডলি বেগম বলেন, অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। রাস্তায় বাস একেবারে নেই বললেই চলে। ২০০ টাকার সিএনজি ভাড়া ৪০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। আবার সিএনজিও কম।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, রাজধানীতে বাস বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নেই। মালিকরা হয়তো আতঙ্কের কারণে বাস কম চালাচ্ছেন। এছাড়া যাত্রী না থাকায় দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকতে পারে।
এমএ/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :