মাসুদ আলম: বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর প্রবেশপথে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রতিটি প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে পথচারীসহ সাধারণ যাত্রীদের। তল্লাশির সময় কাউকে সন্দেহ হলে আটকও করা হয়। এছাড়া দূরপাল্লার বাসগুলোকে চেক করে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে আবারও ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয়। নয়াপল্টন এলাকায় ঢুকতে গেলে পুলিশের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। ওই এলাকায় বসবাসরতদের ঢুকতে দেওয়া হলেও তাদের মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপও চেক করছে পুলিশ। পুরো নয়া পল্টন ও আশপাশের এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় সড়কে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম। দূরপাল্লার বাসের সংখ্যাও তুলনামূলক কম। এছাড়া যাত্রী সংখ্যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, বাস থামিয়ে ভেতরে তল্লাশি করা হয়। কোনো যাত্রীর সঙ্গে ব্যাগ থাকলে সেটিও যাচাই করা হয়। পাশাপাশি সড়কে র্যাব ও পুলিশ টহল দেয়।
দারুস সালাম জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) পলাশ সরকার বলেন, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এবং নাশকতা এড়াতে যানবাহন ও সন্দেহজনক ব্যক্তিকে তল্লাশি করা হয়।
ভাটারা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোরশেদ আলম বলেন, রাজধানীতে যাতে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি কেউ করতে না পারে সেজন্য পুলিশের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া চেকপোস্ট ও মোবাইল পেট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে।
এমএ/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :