শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ০৭:৫৫ বিকাল
আপডেট : ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ০৭:৫৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভবন নির্মাণে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নেয়ার দাবি জানিয়েছেন মেয়র আতিক

আতিকুল ইসলাম

সুজিৎ নন্দী : ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা শহরে উন্মুক্ত স্থান ও গাছপালা ধ্বংস করে একের পর এক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নগরে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা করা হচ্ছে। এগুলো কেন করা হচ্ছে, কার পরামর্শে হচ্ছে ? সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।  

তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে নগরে ভবন নির্মাণ করতে গেলে অবশ্যই সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হবে। সবুজ এলাকা ও উন্মুক্ত স্থান ধ্বংস করে কিছু করতে দেওয়া হবে না। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে। 

মেয়র বলেন, এয়ারপোর্ট সড়কে বনানী চেয়ারম্যান বাড়ীর সামনে সিটি ফরেস্ট ছিল, সেটা ধ্বংস  করে কেন সেতু ভবন করা হয়েছে। সেতু ভবনের পাশে আবার বিআরটিএ ভবন করা হয়েছে। কিছুদিন আগে আবারও গাছপালা কেটে ভবন নির্মাণ করতে গেলে আমি বন্ধ করে দেই। ড্যাপের মধ্যে এবং নগর পরিকল্পনায় এই জায়গা গুলোতে যদি সিটি ফরেস্ট থাকে তাহলে ভবন ভাঙতে হবে। নগরের প্রয়োজনে, জনগনের স্বার্থে যেকোনো ভবন ভাঙতে হবে।

মেয়র বলেন, হকারদের নগরের অংশ হিসেবে চিন্তা করে স্মার্ট ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার জন্য মিরপুর দশ নম্বরে পাইলট প্রকল্প নিয়েছি। সপ্তাহে পাঁচ দিন নির্দিষ্ট হকাররা বিকাল ৪টার পর থেকে ফুটপাতে বসছে। অন্য সময় ফুটপাতে কোন হকার বসতে পারবে না। পর্যায়ক্রমে পুরো এলাকায় এটি চালু করা হবে। হলিডে মার্কেট ও ইভিনিং মার্কেট করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সবার জন্য বাস উপোযোগী দৃষ্টিনন্দন ঢাকা গড়ে তুলতে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সকল শ্রেণির মানুষ ঢাকায় বসবাস করে। তাই সবার বিষয়কে বিবেচনায় রেখেই ঢাকাকে গড়ে তুলতে হবে। 

মন্ত্রীর আরও বলেন, যে কোন শহরেই সকল শ্রেণির মানুষের প্রয়োজন রয়েছে। একইভাবে রাজধানী ঢাকায়ও সকল শ্রেণির মানুষের প্রয়োজন রয়েছে। তাই সকল শ্রেণির মানুষের জন্য সুন্দর ও নিরাপদ জীবন যাপনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। রাজধানীতে শ্রেনিভেদে মানুষের আয়ের তারতম্য রয়েছে। পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণে মানুষের আয়ের বিষয়কে বিবেচনায় রাখতে হবে। এ জন্য জোনভিত্তিক পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের দাম নির্ধারণ করা যৌক্তিক। 

তিনি আরো বলেন, গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ অভিজাত এলাকায় বসবাসরত মানুষ যে নাগরিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন যাত্রাবাড়ী অথবা পুরান ঢাকার মানুষ তা পায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমতাভিত্তিক উন্নয়নের কথা বলেছেন। সমাজ ও মানুষের মধ্যে বৈষম্য প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেননি বলে ও  উল্লেখ করেন মন্ত্রী।বুধবার (২৬ অক্টোবর) গুলশানে একটি হোটেলে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ, ইউএন-হ্যাবিট্যাট এবং ডিএনসিসির প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের

সম্মিলিতভাবে আয়োজিত ‘নিন্ম আয়ের মানুষের আবাসন ও নাগরিক সুবিধাসমূহঃ  প্রেক্ষিত ঢাকা’শীর্ষক নগর কথা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র এ কথা বলেন। এ সময় মেয়র বলেন,  যে কোনো কাজ দেশের স্বার্থে ও দশের স্বার্থে হলে আমি আপনাদের সাথে যোগ দিবো। যদি নিজের স্বার্থে হয় তাহলে আমি আপনাদের সাথে নাই। সুন্দর নগরায়ন করতে গেলে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। 
অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। 

মিরপুর প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠটি প্লট আকারে কিভাবে বরাদ্দ দেয়া হলো ? ষাটের দশকে মাস্টার প্লানে ও ১৯৮৭ সালের ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটির লেআউটেও এটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে দেখানো আছে। ড্যাপের নকশায়ও এটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে রয়েছে। এখানে কিছুতেই প্লট হতে পারে না। 

খাল উদ্ধার ও নদী বাঁচাতে হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ঢাকার নদী বাঁচাতে হবে আর নদী বাচাতে হলে খাল খনন করতে হবে। ঢাকার খালকে বাঁচাতে হলে সিএস দাগের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারন করতে হবে। মহানগর জরিপ অনুসরণ করলে শহরকে বাঁচানো যাবে না।কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ড দখল হয়ে গেছে। এগুলো উদ্ধারে আমরা কাজ করছি। খাল উদ্ধারে সীমানা পিলার লাগানো শুরু করেছি।

এসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মেয়রকে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অর্জন করায় অভিনন্দন জানান।অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএনসিসির প্রধান পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম। অন্যান্যের মধ্যে সেন্টার অফ আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

এসএন/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়