শিরোনাম
◈ তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর যা জানালো ◈ বিএনপির বিশৃঙ্খলা রোধে তারেক রহমানের যত ‘স্মার্ট অ্যাকশন’ ◈ ভারতে শেখ হাসিনা আশ্রয় পেতে যাচ্ছেন দালাই লামার মতোই! ◈ কর্মীদের হত্যাকাণ্ডের নিউজ কোথায়, প্রশ্ন আওয়ামী লীগের ◈ শাহবাগে বিক্ষোভ: আগামী ৭২ ঘণ্টায় পার্বত্য তিন জেলায় অবরোধের ঘোষণা  ◈ পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ : রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি ◈ বাইতুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন, সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ (ভিডিও) ◈ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ◈ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর আজ স্বাভাবিক দীঘিনালার পরিস্থিতি ◈ জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের

প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০২:৩৬ দুপুর
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০২:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিএনজি-অটোরিকশা চালকদের দাবি 

‘ট্রাফিক সার্জেন্টরা ইচ্ছে মতো মামলা দেন’

সিএনজি-অটোরিকশা চালক

শাহীন খন্দকার: রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার(৯ সেপ্টেম্বর) থ্রি হুইলার লাইসেন্সধারী চালকদের রেজিস্টেশন, ব্লু বুক, দেওয়াসহ মালিক এবং সড়কে পুলিশি হয়রানি বন্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে, ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদ এই কর্মসূচি পালন করেন।কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, আমরা চালকরা দীর্ঘসময় পরিশ্রম করেও অন্ন-বস্ত্রসহ- ছেলেমেয়েদের শিক্ষার খরচ চালিয়ে মাস শেষে ঘরভাড়াটাও দিতে কষ্ট হয়।

বক্তারা আরো বলেন, পরিবার পরিজন অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারি না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা সিএনজি অটোরিকশার মালিক, প্রশাসন ও চাঁদাবাজ দালালদের অত্যাচার সহ্য করে আসছি। দিন দিন তা বেড়েই চলেছে।

আপনারা সবাই জানেন রাস্তার পরিস্থিতি ভালো নেই। প্রতিদিন ১৬০০ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে যাত্রা শুরু করি। তারা বলেন, আমাদেরকে সব সময় বিড়ম্বনার মধ্যে থাকতে হয়। সামান্য অপরাধে ৭০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত মিটারের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। পার্কিং নেই বললেই চলে। অথচ নো পার্কিংয়ের মামলা করে দেওয়া হচ্ছে। ট্রাফিক সার্জেন্টরা সামনে পেলেই মনের মতো মামলা করে দেন।

অপরদিকে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী এ ক্ষুদ্র যানটির দৈনিক জমা ৯০০ টাকা করা হয়েছে। তারপরেও মালিকরা ৯০০ টাকার চেয়ে বেশি হারে জমা নিয়ে থাকেন। মালিকের গাড়ির গ্যারেজ ভাড়া দিতে হয় চালককে।

এসময়ে বক্তব্য রাখেন পরিষদের আহ্বায়ক শেখ হানিফ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বিল্লাহ হোসেন এবং সদস্য সচিব মো. গোলাপ হোসেন। কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগরীর অসংখ্য সিএনজি অটোরিকশা চালক ও  উপস্থিত ছিলেন।

পরিষদের আহ্বায়ক শেখ হানিফ বলেন, এখন আমাদের দাবি, নির্ধারিত ৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগর হতে কোনো গাড়ি বন্ধ বা ওঠানো চলবে না। প্রশাসন কর্তৃক সিএনজি অটোরিকশায় চাঁদাবাজি বন্ধ করে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

চলমান ৫হাজার  সিএনজি অটোরিকশা চালকদের মাঝে বিতরণের আন্দোলনকে বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করার জন্য বাড়তি ভাড়া আদায়কারী মালিকরা চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন। মালিকরা সিন্ডিকেট করে ৯০০ টাকা দৈনিক জমা ১১০০-১৩০০ টাকা নিচ্ছেন।

চালকরা বিআরটিএ গিয়ে প্রতিকার চেয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। প্রায় ১০০০ সিএনজি অটোরিকশা মালিকদের কাছে ঢাকা শহরের প্রায় পঞ্চাশ হাজার সিএনজি অটোরিকশা চালক ও এক কোটি যাত্রী জিম্মি।  আমরা চাই এসব সকল সমস্যা দূর হোক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়