শিরোনাম
◈ পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৩৭ কর্মকর্তাকে র‍্যাংকব্যাজ পরালেন ডিএমপি কমিশনার ◈ ১৪ মামলার আসামি, চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারি ‘ট্যারা সোহেল’সহ গ্রেফতার ৩  ◈ ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ নারী দলের একধাপ অবনমন  ◈ শৈলকুপায় মসজিদে জুতা চুরি নিয়ে সংঘর্ষে ১০ জন আহত ◈ এ বছর নির্বাচন আয়োজন কঠিন হতে পারে: রয়টার্সকে নাহিদ ◈ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কোনো অভিযান চালানোর কারও এখতিয়ার নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ পাকিস্তান কাশ্মীরের একাংশ ‘চুরি করেছে’, ফেরাতে চায় ভারত! ◈ চলতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন যারা ◈ হিযবুত তাহরীর সভা-সমাবেশ করলে ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি ◈ এনআইডি ইসিতে রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে : সিইসি

প্রকাশিত : ০৬ মার্চ, ২০২৫, ০১:৪৭ রাত
আপডেট : ০৬ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গুলশানে মধ্যরাতে ‘ছাত্র-জনতার’ নামে আবাসিক ভবনে তল্লাশি চালালো কারা, অনুসন্ধানে পরিচয় শনাক্ত (ভিডিও)

রাজধানীর গুলশানে মধ্যরাতে ‘ছাত্র-জনতার’ নামে আবাসিক ভবনে তল্লাশি চালালো কারা, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছে একটি বেসরকারি টেলিভিশন টিম। তুলে এনেছে মবে নেতৃত্ব দেয়া কয়েকজনের নাম পরিচয়। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার তিনজনকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।  খবর: চ্যানেল২৪

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মধ্যরাতে শেখ হাসিনার একসময়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর গুলশানের বাসায় অভিযান ও তল্লাশির নামে চলে লুটপাট। এই মবের নেতৃত্বে ছিলেন জুয়েল খন্দকার নামের এক ব্যক্তি। তিনি জাতীয়তবাদী চালক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তার দলীয় মিটিং মিছিলে অংশ নিচ্ছেন এমন অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে চ্যানেল 24 এর হাতে। 

ঘটনার দিন সেখানে দেখা যায় জুয়েল খন্দকারের ছেলে শাকিলকেও। রয়েছে তাদের পরিচিত একজন, যার নাম রনি। ঘটনাস্থলে কথা বলতে দেখা যায় তাকেও।

পরে মুঠোফোনে ভুক্তভোগী মিতু জানান, লুটপাটের পরিকল্পনায় রেকি করতে ঘটনার ১ দিন আগে সোমবার মধ্য রাতে শিক্ষার্থী পরিচয়ে বেশ কয়েকজন তরুণ গিয়েছিল বাসাটিতে। ওরা স্টুডেন্ট আইডি পরা ছিল। সুন্দর ইংরেজি বলছিল। ভাল পরিবারের ছেলেই মনে হয়েছে। 

এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ দিলেন একই তথ্য। তিনি জানান, এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়া ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ১৫ জনকে। 

তিনি বলেন, ‘মূলত এর মেইন যে অর্গানাইজার মনে হয়েছে ওই তিনজনকেই আমরা গ্রেপ্তার করেছি। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা তারা বলেছে, কিন্তু এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।’ 

চালকদলের নেতা জুয়েল খন্দকারের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে যাওয়া হয় বাড্ডার চেয়ারম্যানবাড়ী এলাকায়। সেখানেই কথা হয় তার ছেলে শাকিল খন্দকারের স্ত্রীর সঙ্গে। তিনিও শাস্তি চাইলেন অপরাধীদের। তবে দাবি, তার শ্বশুর বা স্বামী কেউই লুটপাটে জড়িত নন।

তিনি বলেন, ওনারা কিছু করেনি। উনি যদি লুটপাটই করত অবশ্যই বাসায় আসত। আমার শ্বশুরও না আমরা স্বামীও লুটপাটে নাই। যারা ছাত্র ওরাও তো চলে গিয়েছে ওদের বাসায় যান। আপনি আমার বাসায় আসছেন ওদের বাসায়ও যান। 

স্থানীয় অনেকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে সেই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলটি।  বেশিরভাগই মুখ খুলতে রাজি হননি। 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়