রাজধানীর একটি আবাসিক হোটেলে লুকিয়ে ছিলেন পটুয়াখালীর এক আওয়ামী লীগ নেতা আল আমিন সিকদার (৫০)। পরে অপারেশন ডেভিল হান্ট -এর অভিযানে হোটেল থেকে আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তাদের উভয়কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টায় রাজধানীর গ্রিন রোডস্থ নাস আবাসিক হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাবাগান থানার এসআই মো. বেলাল উদ্দিন।
গ্রেপ্তার আল আমিন সিকদার পটুয়াখালী পৌর আ.লীগের সিনিয়র সহসভাপতি। পেশায় ঠিকাদার বলে জানান তিনি নিজেই। এছাড়াও তিনি হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়। অপর গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সুব্রত সেন। তিনিও আ.লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে রাজধানীর গ্রিনরোডে অবস্থিত আবাসিক নাস হোটেলে আ.লীগ নেতা আল আমিন লুকিয়ে অবস্থান করছেন। এ খবরে কলাবাগান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে আল আমিনকে আটক করা হয়। এসময় তার সঙ্গে থাকা সুব্রত সেনকেও আটক করে পুলিশ। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতারাও উপস্থিত ছিলেন।
পরে আটককৃতদের থানায় নিয়ে ঢাকার কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড ও এর আশপাশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় তাদের উভয়কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরো জানা যায়, আ.লীগ নেতা আল আমিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন সময় বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও পালাতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে কলাবাগান থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাস আবাসিক হোটেল অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়েছে। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বুধবার তাদের উভয়কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উৎস: কালবেলা।
আপনার মতামত লিখুন :