শিরোনাম
◈ সাত কলেজ ও ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনের আহ্বান ◈ মধ্যরাতে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে নীলক্ষেতে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা (ভিডিও) ◈ সাত কলেজের ঘটনা ‘দুঃখজনক’, সব পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান প্রো ভিসি ড. মামুনের ◈ ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ, শিবির সভাপতির বক্তব্য ◈ সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান গ্রেপ্তার ◈ ঢাবি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, নীলক্ষেত নিউমার্কেট এলাকা রণক্ষেত্র (ভিডিও) ◈ তাসকিনের রেকর্ড, আবারো রাজশাহীর কাছে রংপুর রাইডার্সের অপ্রত্যাশিত হার ◈ এস কে সুরের লকারে তল্লাশি: ডলার-ইউরো, স্বর্ণসহ আরও যা পাওয়া গেল ◈ নাতির বয়সী ছেলে যদি বিএনপি মহাসচিবের বিরুদ্ধে খোঁচা দিয়ে কথা বলে, তা দু:খজনক : মেজর হাফিজ ◈ শাহবাগে মাদ্রাসার শিক্ষকদের লাঠিপেটা নিয়ে যা বললেন জামায়াত আমির

প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:২৭ রাত
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুন্নতে খৎনার জন্য অজ্ঞান করা শিশু আয়ানের মৃত্যু : তদন্তে যা বেরিয়ে এলো

রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খৎনার জন্য অজ্ঞান করা শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসক এবং অ্যানেসথেসিওলজিস্টের দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এর ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

তদন্তে চিকিৎসক তাসনুভা মাহজাবিন ও অ্যানেসথেসিওলজিস্ট সৈয়দ সাব্বির আহমেদের দায়ের বিষয়টি উঠে আসে। কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ওই দুই জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও সুপারিশ করেছে।

প্রতিবেদনে দায়ীদের পাশাপাশি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও সুপারিশ করা হয়। এছাড়া আয়ানের বাবা-মাকে ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং অনুমোদনহীন সব হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ করারও সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়ানের খতনা হয়। তখন তাকে অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে অজ্ঞান করা হয়। এরপর মৃত্যু পর্যন্ত তার আর জ্ঞান ফেরেনি। ভুল চিকিৎসা এবং অবহেলার কারণে আয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ। পরে এ ঘটনায় দেয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট লোকদেখানো (আইওয়াশ) ও হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
 
গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার তদন্তে নতুন কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। কমিটিতে তিন জন চিকিৎসক, দুই জন সিভিল সোসাইটির ব্যক্তি ও একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে রাখা হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে আয়ানের মৃত্যুর পুরো ঘটনা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

সোহওয়ার্দী হাসপাতালের অধ্যাপক ডাক্তার এ বি এম মাকসুদুল আলমকে এ কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরেও কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারলে গত বছরের নভেম্বরে উচ্চ আদালত ২০২৫ সালের ১২ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়