সুজন কৈরী: ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা থেকে ৬বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী মো. ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০। শনিবার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের খালপাড় বাজার এলাকা থেকে ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ইমামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ১টি, ডাকাতি প্রস্তুতির ১টি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২টি মামলা রয়েছে বলে র‌্যাব জানতে পেরেছে। 

র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এনায়েত কবির শোয়েব বলেন, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের সংসাবাজ এলাকায় ভাড়া বাসায় জনৈক আবু সাইদ হোসেন গত ৯ জুলাই ঈদ উল-আযহা উপলক্ষ্যে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ী দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের খেজুরবাগ এলাকায় বেড়াতে যান। তার এক আত্মীয়ের বাসা শ্বশুর বাড়ীর পাশাপাশি থাকায় তার স্ত্রী ও সন্তানরা প্রায়ই সেখানে যাওয়া-আসা করেন। ১৪ জুলাই দুপুরে তার ৬ বছরের মেয়ে শিশু ওই আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যায়।

দীর্ঘসময় মেয়ের কোনো খোঁজখবর না পাওয়ায় আত্মীয়কে ফোন করেন আবু সাইদ। আত্মীয় তার বাসা থেকে শিশু মেয়ে অনেক আগেই রেরিয়ে গেছে বলে জানান। একথা শুনে আবু সাইদের স্ত্রী ও তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায় বিকেলে খেজুরবাগের সাহেব গলি মার্কেটের পাশে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে পান তারা। পরে ভিকটিম তার মাকে জানায় যে, সে তার আত্মীয়ের বাসা থেকে বেরিয়ে নানার বাড়ী যাওয়ার সময় খেজুরবাগের সাহেব গলি এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

এরপর মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান বাবা আবু সাঈদ। বর্তমানে মেয়েটি ঢামেকের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় আবু সাইদ দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু এবং ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে র‌্যাব। পরে ফুটেজ দেখে শনাক্তের পর মামলার আসামী ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমামকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।