শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২২, ০৪:০৮ দুপুর
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০২২, ০৪:২৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাসের ব্লু-বুক ও রেজিস্ট্রেশন চুরি করে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৪

কনফারেন্স

সুজন কৈরী: নতুন এক চাঁদাবাজ চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চক্রটি রাজধানীতে চলাচলরত বাসসহ মূল কাগজপত্র চুরি ও হুমকির মাধ্যমে চাঁদা আদায় করতো। শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা থেকে চক্রের মূলহোতা রাকিব ওরফে তুফানসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি’র ঢাকা মেট্রো-পশ্চিমের একটি টিম।

গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন-তুফানের তিন সহযোগী শুকুর আলী (২৮), হৃদয় হোসেন (২১) ও মো. শামিম (২৫)। তাদের কাছ থেকে অনেকগুলো বাসের চুরি হওয়া রেজিস্ট্রেশন সনদ, ফিটনেস সনদ ও ট্যাক্স টোকেন এবং চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত মোবাইল সীম উদ্ধার করা হয়েছে। 

সংস্থাটি বলছে, গণপরিবহনে উঠে গাড়ির কাগজপত্র চুরি করতো চক্রটি। পরে ফোন করে গাড়ির মালিকদের কাছে টাকা দাবি করা হতো। তাদের দাবি না মানলে কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলার হুমকিও দিত চক্রটি। কাগজপত্র চুরির কারণে পরিবহনের মালিকপক্ষ অনেকটা ভীত-সন্ত্রস্ত ও জিম্মি হয়ে পড়ে এবং বাধ্য হয়ে চক্রটির সঙ্গে চুক্তি করে। 

রোববার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র ২০২০ সাল এখন পর্যন্ত ঢাকা শহরে চলাচলরত মিরপুর লিংক, শিকড় পরিবহন, খাজাবাবা পরিবহন, প্রজাপতি পরিবহন এবং রবরব পরিবহনসহ অন্যান্য পরিবহনের বাসে যাত্রীবেশে উঠে অভিনব কায়দায় বাসের ব্লু-বুক ও রেজিস্ট্রেশন সনদসহ অন্যান্য কাগজপত্র চুরি করেছে।

এরপর তারা গাড়ির মালিক, ম্যানেজার ও চালকদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে চোরাই প্রতিটি গাড়ির কাগজের জন্য ১০হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে। মালিকরা প্রথমদিকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে চক্রটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি করার ও চালকদের প্রাণনাশের হুমকি দিত।

কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় বাস চালাতে না পারায় বাস মালিকরা চক্রের সদস্যদের সঙ্গে তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতো। তারপর কথা বলে চাঁদার পরিমাণ কমিয়ে চোরাই প্রতি গাড়ির কাগজের জন্য ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা করে দিতো। তখন চক্রটি টাকা পেয়ে কিছু গাড়ির কাগজপত্র ফেরত দেয় এবং কিছু কাগজপত্র আটকে রাখে।

আটকে রাখা গাড়ির কাগজপত্র ফেরত দেওয়ার শর্তে মিরপুর লিংক, খাজাবাবা ও বিকল্প পরিবহন বাসের মালিকদের মাসিক চাঁদা দিতে বাধ্য করে চক্রটি। কাগজপত্র না থাকায় ট্রাফিকের মামলা, কোর্ট-কাচারি, দৌড়াদৌড়ির ভয়ে মালিকরা বাধ্য হন চাঁদা দিতে।

অনেক পরিবহন মালিক মাসিক চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় চক্রের মূলহোতা তুফান পরিচয় দিয়ে মালিকদের হুমকি দিতো। তিনি তাদের বলতেন, আমি তুফান, আমাকে ঢাকা শহরের অধিকাংশ পরিবহনের মালিক মাসিক চাঁদা দেয়। কোনো পরিবহনের মালিক মাসিক চাঁদা না দিলে আমি ওই সব গাড়ির কাগজ চুরি করেই যাব, ঢাকা শহরের কোনো পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। 

তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গাড়ির মালিকরা ঢাকার বিভিন্ন থানায় বিষয়টি অবহিত করে সাধারণ ডায়েরি করেন। গত দুই-আড়াই বছরে দেড় শতাধিক জিডি হয়েছে থানায়। কিন্তু তাতেও কোনো ফল না পাওয়ায় বাস মালিকরা বিষয়টি সিআইডিকে অবহিত করেন।

ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা নিজেদের পরিচয় গোপন করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা থেকে মোবাইল চুরি করে। পরে তারা ওই মোবাইল দিয়ে ফোন করে বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়।

এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ২০২০ সালে তুফান বাসের কাগজ চুরি করা শুরু করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরা না পড়তে গত ২৮ দিনে ৫৬টি সিম পাল্টিয়েছেন তুফান। চক্রে আরো অন্তত পাঁচ জন সদস্য রয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলচে। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপির শাহ আলী থানায় মামলা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়