রাজধানী কাকরাইল মসজিদে সকাল থেকে জড়ো হতে থাকে সাদপন্থী উলামা-মাশায়েখরা। ওই সময় জুবায়েরপন্থীরা কোলাকুলি করে মসজিদের সরঞ্জাম বুঝিয়ে দিয়ে বের হয়ে যান বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এডিসি জুয়েল রানা বলেন, তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষই সমঝোতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে- কাকরাইল মসজিদে চার সপ্তাহ থাকবেন জুবায়েরপন্থীরা আর দুই সপ্তাহ থাকবেন সাদপন্থিরা। সে অনুযায়ী সাদপন্থীরা আজ জমায়েত হয়েছেন। আজ থেকে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য তারা কাকরাইল মসজিদে থাকবেন। কিন্তু সারাদেশ থেকে উলামায়ে-মাশায়েখরা এসেছেন, তাদের অধিকাংশই জুমার নামাজে অংশ নিতে এসেছেন। নামাজের পর চলে যাবেন। আর একটি অংশ মসজিদে থেকে তাদের নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।
নিরাপত্তা বিষয়ে তিনি বলেন, না, তেমন কোনো আশঙ্কা নেই। সকাল ৮টার সময় সাদপন্থিরা মসজিদে প্রবেশ করে আমাদের সামনেই জুবায়েরপন্থীদের কাছ থেকে রান্নার সরঞ্জাম থেকে শুরু করে সবকিছু বুঝে নিয়েছেন সাদপন্থীরা। যোবায়েরপন্থীরা কোলাকুলি করে বের হয়ে গেছেন, দুই সপ্তাহ পর তারা আবার আসবেন। আর এখন যারা থাকবেন, তারা দুই সপ্তাহ পর বের হয়ে যাবেন। আমরা কোন ধরনের ঝামেলার আশঙ্কা করছি না।
কয়েক বছর ধরে তাবলিগ জামাতের মধ্যে যে বিবাদ চলছে সম্প্রতি- তা নতুন রূপ পেয়েছে। সাদপন্থীদের নিষেধাজ্ঞার দাবিতে সরকারকে আল্টিমেটামও দিতে দেখা গেছে জুবায়েরপন্থিদের। এর মধ্যেই সাদপন্থীদের ব্যাপক জমায়েত দেখা গেল। এছাড়াও কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠে সাদপন্থীদের প্রবেশের সুযোগ দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা অচলের হুঁশিয়ারি গত ১২ নভেম্বর দেন জুবায়েরপন্থীরা। এর আগে ৫ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ‘ওলামা-মাশায়েখদের ইসলামি মহাসম্মেলন' থেকে সাদপন্থিদের নিষিদ্ধ করাসহ ৯ দফা দাবি জানায় জুবায়েরপন্থীরা।
আপনার মতামত লিখুন :