শিরোনাম
◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে ◈ অস্ট্রেলিয়ার তা-বে উড়ে গেলো ইংল্যান্ড  ◈ নারী দলের লঙ্কান কোচকে ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ◈ দিল্লিতে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার রুপিতে ! ◈ অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার (ভিডিও) ◈ খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা-সংঘর্ষ, গুলি (ভিডিও) ◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২২, ০৭:৫১ বিকাল
আপডেট : ১১ জুলাই, ২০২২, ১১:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেজি সাড়ে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা

রাজধানীতে কোরবানির মাংসের ভ্রাম্যমাণ  বাজার

রাজধানীতে কোরবানির মাংসের ভ্রাম্যমাণ  বাজার

সুজন কৈরী : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কে বসেছে কোরবানির মাংসের ভ্রাম্যমাণ দোকান। এসব মাংসের দোকান অনেকের কাছে গরিবের মাংসের হাট নামে পরিচিত। 
রোববার রাজধানীর মগবাজার-মালিবাগ রেলগেইট, বাংলামোটর, হাতিরপুল, মৌচাক, খিলগাঁও ফ্লাইওভার সংলগ্ন রেলগেট, রামপুরাসহ বিভিন্ন মোড়ে এমন হাটের দেখা গেছে। 

হাটের দোকানদার বা বিক্রেতারা হচ্ছেন নিম্মবিত্ত সাধারণ মানুষ। যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোরবানির মাংস সংগ্রহ করেছেন। আবার অনেকেই আছেন, যারা মৌসুমি কসাই। কাটাকাটির পর সেখান পাওয়া মাংস পেয়েছেন তারা। কেউ আবার টাকার বদলে মাংস নিয়েছেন।

এসব মাংসই বিক্রি হচ্ছে অস্থায়ী এসব বাজারে। এসব মাংসের প্রতি রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদেরও আগ্রহ বেশি। কম দামে পাওয়া যায় বলে তাদের এই আগ্রহ। আর নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষরাও কম দামে কিনছেন এসব মাংস। 

একজন ক্রেতা বলেন, এই মাংসের স্বাদ বেশ ভালো। আমি প্রতি বছর কিনি। এখানে বিভিন্ন বাড়ির নানা ধরনের গরুর মাংস মিশ্রিত থাকে। তাই স্বাদে ভিন্নতা থাকে।

খিলগাঁও রেলগেটের সামনে কয়েক ভাগ মাংস নিয়ে বসা রহিম মিয়া বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া মাংস নয়, বিভিন্ন বাসায় কোরাবানির মাংস কাটার পর নিজের ও দলের ভাগ একত্রিত করে বিক্রির জন্য বসেছেন। তার বাড়ি রংপুর। এত মাংস নেয়া সম্ভব না, তাই বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই। দাম ৩০০ টাকা কেজি। 

মগবাজার রেলগেটে বসা কয়েকজন মাংস বিক্রেতার কাছে মাংস কিনছেন একটি হোটেলের ম্যানেজার। নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, প্রতি বছরই কোরবানি ঈদে হোটেলের জন্য এসব মাংস সংগ্রহ করি। দামে কম হওয়ায় এসব মাংস কেনা লাভজনক।

ক্রেতা রিকশাচালক বাদল বলেন, আমাগো মতো গরিব মাইনশে তো এত টাকা দিয়া গোস্ত কিনতে পারব না। এসব হাট থাইকাই মাংস কিনি।

আজিমপুর এলাকার প্রান্তিক মাংস বিক্রেতা শাহীন হাওলাদার জানান, তিনি ভ্রাম্যমাণ মানুষের বিক্রি করা মাংস কিনে নিয়েছেন। ২৫০-২৭০ টাকা কেজি দরে এসব মাংস কিনে নিজেই তা আবার বিক্রি করছেন ৩৫০ টাকায়। কেজি হিসেবে মাংস বিক্রির পাশাপাশি ‘ভাগ’ হিসেবেও মাংস বিক্রি করছেন তিনি।

ঈদুল আযহার জামাত আদায়ের পর মাংস সংগ্রহে নামেন রিকশাচালক সাহেব আলী। দুপুর পর্যন্ত ১০ কেজির বেশি মাংস সংগ্রহ করেন। পরে এক দোকানির কাছে ২৫০ টাকা দরে এসব মাংস বিক্রি করে দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়