শাহীন খন্দকার : রাজধানীর রাস্তায়, অলি-গলিতে, বাসাবাড়ির সামনে নগরবাসি কোরবানি দিচ্ছে গরু-ছাগল। সিটি কর্পোরেশনের নিয়মনীতি কাজে লাগেনি, ঈদের নামাজ শেষে যত্র-তত্র রাস্তার উপরেই কোরবানি চলছে।
ঈদ-উল আযহায় রাজধানীর নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানির আহ্বান জানিয়েছিলেন দুই সিটি মেয়র। সে আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ঈদের নামাজ শেষে যত্র-তত্র রাস্তার উপরেই কোরবানি চলছে।
কোরবানী কেনো রাস্তার ওপরে দেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে মোহম্মদপুর নূরজাহান রোড , রিং রোড, খীলজি ,বাবর রোডের ওপরেই কোরবাণী কেনো দেওয়া হচ্ছে প্রশ্নের জবাবে বাসিন্দারা জানান কোরবানী দেওয়ার সুনিদিষ্ট জায়গা না থাকায়। দুরে কোনও পার্কে যাতায়াত ও মালামাল বহনে অসুবিধার উল্লেখ করে বাড়ির সামনের রাস্তাকেই উপযুক্ত দাবি করছেন কোরবানিদাতারা।
রোববার ঈদের নামাজ শেষে সকাল থেকেই শহরের অধিকাংশ পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে ও রাস্তায় পশু কোরবানি, মাংস কাটা ও চামড়া পৃথক করার কাজ চলছে। দ্রুত গরুর রক্ত ও বর্জ্য পরিষ্কার করা না হলে সর্বত্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ কোরবানিদাতারা নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় কোরবানি দিচ্ছেন বরং পাড়া-মহল্লার অলি-গলির রাস্তাগুলোতেই । তাদের দাবি রাস্তাটি ভবিষ্যতে আমি বা আমরাই ব্যবহার করবো। তাই কোরবানি ও মাংস বণ্টন শেষে দ্রুত পশুর রক্ত ধুয়ে বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে, যাতে কোনো দুর্গন্ধ না হয়।
এদিকে রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশন শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তুলতে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত সরানোর লক্ষ্যে সেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। বিগত দিনের ন্যায় রাস্তায় ব্লিসিংপাউডার সিটাতে দেখা যায়নি।
রাস্তার ছোপ ছোপ রক্তেভরা রাজপথের অলি-গলিতে দেখা গেছে। রাস্তার পাশে ড্রেনের মখে বর্জ্য ফেলে রাখছে অনেকেই। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই ড্রেনের মুখ দিয়ে পানি নেমে যেতেও বড় ধরণের বাধার সন্মুখীন হবে বলেও অনেকেই মনে করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :