শাহীন খন্দকার : রাজধানীর রামপুরা আফতাব নগর কোরবানীর হাটের সর্ব বৃহৎ গরু সুলতান। সুলতান সর্ম্পকে তার মালিকের দাবি সুলতান গরু হলেও সে ইংরেজী ভাষা বোঝে! মালিক বাপ্পি সুলতানের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ সুলতান গেট আপ’ একথাটি উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুলতান নামের গরুটি উঠে দাঁড়াল।
এর পরেই গরুটি ছুটোছুটির চেষ্টা করলে বাপ্পি ধীর গলায় গরুটির গায়ে হাত দিয়ে বললেন, রিলাক্স সুলতান রিলাক্স! দুই বার বলার পর শান্ত হয়ে গেল গরুটি। বাপ্পির দাবি, আমার এই গরু ইংরেজি ভাষা বোঝে।
এই প্রথম কোরবানীর হাটে ইংরেজী কথা বোঝে আফতাব নগর হাটে এসেছে। গরুটির মালিকের দাবি দেশের আর কোথাও সম্ভবত ইংরেজী ভাষা বোঝে গরু পাবেন না।
গরুটির ওজন সর্ম্পকে জানতে চাইলে পলাশ আহমেদ বাপ্পি জানান, গরুটির ওজন ৪৫ মণ (১৮০০ কেজি)। সুলতানের দাম ১৮ লাখ টাকা। তবে সুলতানের মূল মালিক পলাশ আহমেদ বাপ্পি না হলেও খামারে গরুটির পরিচর্যা থেকে শুরু করে সব কিছু তিনিই করেছেন। তবে গরুটির মাটিক বাপ্পীর নিকট আত্মীয়ের বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমিই হাটে এনেছি, সেই অর্থে গরুটির বর্তমান মালিক আমি।
পলাশ আহমেদ বাপ্পি আরো বলেন, আমরা নড়াইল থেকে এসেছি। নিজস্ব খামারে অত্যন্ত যত্নে গরুটিকে বড় করেছি। আমরা তাকে খামারেও টুকটাক ইংরেজি বলি তার সাথে। টুকটাক ইংরেজী চর্চা থেকে শিখে গেছে। গরুর দরদাম বিষয়ে বলেন, আমাদের চাওয়া দাম ১৮ লাখ টাকা। অনেকেই দরদাম করেছেন।
তবে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ টাকা দাম উঠেছে। আমাদের চাওয়া আরেকটু বেশি। কারণ খুব আদরে বড় হয়েছে আমাদের এই সুলতান। শুধু তাই-ই নয় সুলতানের খাবারও ছিলো বেশ । ভাত, ডাল-কলাইসহ ভুসি, ছোলা চিটা গুড় ভাতেরমাড়, এর পরে তো ঘাস পানা ও খড়ছিলো।
ঈদের আগের দিন আজ শনিবার দুপুর ৪ টা পর্যন্ত গরুটি বিক্রি হয়নি। চাহিদা মতো দাম শেষ পর্যন্ত না পেলে গরু (সুলতানকে) নিয়ে নড়াইল ফিরে যাবেন জানিয়ে পলাশ আহমেদ বাপ্পি।
এক প্রশ্নের জবাবে বাপ্পি বলেন , আমাদের চাওয়া ১৮ লাখ । তবে কিছু কম হলেও ক্রেতার কাছেই রেখে যাবেন আদরের সুলতানকে আল্লাহ নামে কোরবানী দেওয়ার জন্য। আশা করছি রাতের মধ্যেই বিক্রি হবে । সম্পাদনা : জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :