রাজধানী ঢাকায় সকাল থেকেই ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। এতে কমে এসেছে গত কয়েকদিনের তাপপ্রবাহের প্রভাব। সাগরে লঘুচাপের প্রভাব পড়েছে সারাদেশে। ভোর থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মুষলধারে নামে সকাল সাড়ে ৮টার পরই। এতে ভোগান্তিতে পড়েন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষ।
আজবৃহস্পতিবার মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন (৩) নম্বর এবং নদীবন্দরে এক (১) নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সকালের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে স্বস্তি এলেও ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনেকেই আজ বাসা থেকে বের হতেই বিপদে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে যানবাহন সংকট, রিকশা ভাড়া বেশিসহ নানামুখী সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেককেই। অনেককেই ভিজে ভিজে অফিসে যেতে দেখা গেছে।
সকালের ঝুম বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে পানি জমেছে। কর্দমাক্ত পথে চলতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ। সড়কে যানবাহন কম দেখা গেছে। তবে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আবার তীব্র যানজটও দেখা গেছে। এই সুযোগে রিকশাচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন। বাধ্য হয়ে অনেককেই ভিজে ভিজে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৬ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, টাংগাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুল্ককে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ভারি বর্ষণের সতর্কবাণীতে বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। ভারি বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :