মোস্তাফিজুর রহমান : রাজধানীর মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টে বিথী আক্তার (২২) নামে এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী কমল মিয়া পলাতক রয়েছেন।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে অচেতন অবস্থায় ওই নারীকে তার স্বামী কমল মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশী জীবন মিয়া বলেন, সোমবার বিকেলে নিহত বিথীর স্বামী কমল মিয়া আমাকে ফোন করে জানায় তার স্ত্রী ডিআইটি প্রজেক্টে গুরুতর আহত হয়েছে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিথীকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিথীকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরে বিথীর স্বামী কমল মিয়া হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক বিথীর মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কী কারণে কমল মিয়া হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেল সেটি আমরা এখনও জানতে পারিনি। নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে, তা না হলে সে কেন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাবে।
জানা গেছে, বিথী আক্তার স্বামী কমল মিয়ার সঙ্গে বাড্ডা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :