সুজন কৈরী: ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে ওঠা মলমপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের ১৪ সদস্যকে বুধবার রাতে রাজধানীর রামপুরা, মতিঝিল, পল্টন এবং শাহজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। এ সময় অজ্ঞান ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বিষাক্ত মলম ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (অপস্ ও ইন্ট শাখা) পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মানিক, হৃদয়, ওমর ফারুক, শরিফুল ইসলাম, এনামুল হক, সুজন, আশরাফুল ইসলাম, সোহাগ, রাসেল, মনির হোসেন, সুজন মিয়া বাহারাম, সুমন হোসেন এবং হারুন সরদার। তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইলফোন, ২টি কাঁচি, ২টি এন্টিকাটার, ৪টি ব্লেড, ১২টি বিষাক্ত মলম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ঈদকে কেন্দ্র করে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় এই চক্রের সদস্যদের পদচারণা বেশি। তারা যাত্রীদের টার্গেট করে ডাব, কোমল পানীয় কিংবা পানির সঙ্গে বিষাক্ত চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে কৌশলে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। আবার কখনও যাত্রীবেশে বাস ও ট্রেনে চড়ে যাত্রীদের পাশে বসে তাদের নাকের কাছে চেতনানাশক ওষুধে ভেজানো রুমাল দিয়ে যাত্রীদের অজ্ঞান করে থাকে।
বিষাক্ত পানীয় সেবন কিংবা বিষাক্ত স্প্রের ঘ্রাণ নেওয়ার পর যাত্রী জ্ঞান হারালে তার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়। এছাড়াও কখনও ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের চোখে-মুখে বিষাক্ত মলম বা মরিচের গুঁড়া বা বিষাক্ত স্প্রে করে যাত্রীদের যন্ত্রণায় কাতর করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়।
অন্যদিকে, সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে ওৎ পেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন করে সর্বস্ব লুটে নেয়। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাইকাজে বাধা দিলে নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতে দ্বিধাবোধ করে না।
আপনার মতামত লিখুন :