শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২২, ১১:৫২ দুপুর
আপডেট : ০৭ জুলাই, ২০২২, ১১:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীতে জমে উঠেছে পশু খাদ্যের ব্যবসা

পশু খাদ্য

শাহীন খন্দকার : ঈদের বাকি আর মাত্র তিনদিন। প্রতি বছরের মত এবারও রাজধানীতে বসেছে অস্থায়ী পশু খাদ্যের দোকান। গরুর হাটসহ বিভিন্ন অভিজাত এলাকা কিংবা পাড়া মহল্লার অলিগলির ফুটপাত জুড়ে পশুর খাবার ও কোরবানীর সামগ্রীর মৌসুমী ব্যবসা এখন তুঙ্গে। 

এর মধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে গোখাদ্য। সেই সঙ্গে আসছে মাংস কাটার জন্য কাঠের গুলোই ও বাঁশের চাটাই। রাস্তায় বের হলেই চোঁখে কাঁচা ও শুকনো খড়, ভুষি, কাঁঠালপাতাসহ বিভিন্ন গোখাদ্য। 

রাজধানীর মোহম্মদপুর খিলজী রোড ও কৃষিবাজার মার্কেটের আশেপাশে চলছে এমন মৌসুমি রমরমা ব্যবসা। বিক্রেতারা জানান, আমরা প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ জন মিলে এই ধরণের মৌসুমি ব্যবসা করি। কারওয়ান বাজার থেকে ভূসি, কাঠের পাটাতন ও উত্তরবঙ্গ থেকে কাঁচা ও শুকনো খড় আনি। তিনি জানান,  ভূসি কেজি প্রতি ৭০ টাকা, কাঁচা ঘাস আঁটি প্রতি ৫০ থেকে ৮০, শুকনো ঘাস ও কাঁঠাল পাতা আঁটি ২০ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি করি। চাটাই প্রতি পিস ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, বাঁশের টুকরি ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি করছি। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। 

এ ব্যবসা সাধারণত ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শ্রমিকরা করে থাকেন। গরুর জন্য কাঁচা ঘাস কিনতে আসা ফরিদ মিঞা জানান, একটি গরু ও একটি ছাগল কোরবানি দিচ্ছি। গরুকে ভূসি আর শুকনো ঘাস ও ছাগলের জন্য কাঁচা ঘাস নিয়ে যাচ্ছি। গতকালও নিয়েছিলাম আজ নিচ্ছি  এভাবেই কারবানির আগের দিন পর্যন্ত  দিতে হবে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেহারী ক্যাম্প এলাকায় বৃহত পরিসরে গড়ে উঠছে কাঠের গুলোই অর্থাৎ পাটাতন ব্যবসা। কথা হয় রফিক পাঠানের সঙ্গে।

তিনি জানান তিনি একজন ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধে আটকে পড়া পাকিস্তানি। মুলত তিনি একজন সাইকেল মেকানিক্স, হলেও প্রতি বছর কোরবানির ঈদে কাঠের গুলোই সংগ্রহ করেন রামপুরা, মীরপুরের বিভিন্ন কাঠের সো-মিল থেকে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যেমন কেনা তেমনি তার বিক্রি। তিনি বলেন  নিম্ন ৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন।  তবে ঈদের রাতে যার কাছে যেমন নিতে পারেন, তেমনি নিয়ে থাকেন বলেন রফিক পাঠান জানান। মোহম্মদপুর অ্যাগোরার সামনে গো-খাদ্য বিক্রেতা জামাল শেখ বাড়ী গোপালগঞ্জে। তিনি মোহম্মদপুরসহ রাজধানীর ৫০ টি পয়েন্টে তার নেতৃত্বে ১০০ জন গোখাদ্য বিক্রি করছেন।

প্রশ্নের জবাবে জামাল শেখ বলেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি, ভাঙা, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, মধুখালি এবং রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে খাদ্য সংগ্রহ করেছেন। জামাল শেখ জানান ভুসি জাতীয় খাবার তিনি কারওয়ান বাজার থেকে সংগ্রহ করেন, আর ধানের খড়, ঘাষ জাতীয় খাবারের বড় চালান আসছে বৃহত্তর গোপালগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে।
তিনি বলেন,এক কেজি গমের ভুসি বিক্রি করছেন ৭০-৮০ টাকা, ধানের ভুসি ৩০-৪০ টাকা কেজিতে, ধানের খর ছোট ছোট দু মুঠো ৪০-৫০ টাকা, ঘাসের আটি বিক্রি করছেন ৩০-৫০ টাকায়। কাঠাল পাতার আটি বিক্রি করছেন ১৫-২০ টাকা করে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়