রিয়াদ হাসান: [২] বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে আন্দোলনকারী ও জনতার ঢল নেমেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। সময় বাড়ার সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে।
[৩] এর আগে শহীদ মিনারের আশপাশে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সেখানে তারা জড়ো হন। সেখানে রিকশা চালকদেরও স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
[৪] অন্যদিকে সকাল থেকে রাজধানীর আফতাবনগর, বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রী, মিরপুর-১০ ও সায়েন্সল্যাবে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এতে অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষও যোগ দেন। বনশ্রী বি ব্লকের সামনে আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগন দেন।
[৫] এদিকে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে দুই ঘণ্টা অবস্থান শেষে বেলা আড়াইটার দিকে সেখান থেকে অবরোধ তুলে নিয়ে আন্দোলনরীরা মিছিল করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে রওনা করেন। সায়েন্স ল্যাব মোড়ে সকাল থেকে অনেক পুলিশ সদস্যকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
[৬] রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্রে করে সহিংসতায় নিহতদের স্মরণ করে ‘আমার ভাই মরল কেন’সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
[৭] আন্দোলনে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমার শত শত ভাই বোনকে মেরেছে। আমাদেরকে রাজাকার বলা হয়েছে। এমন দুঃসাহস রুখে দিয়ে আমরা তাদের দেখাতে চাই ছাত্রসমাজ জাগলে সব উল্টে যায়। এটা প্রমাণ করে ছাড়ব আমরা।
[৮] উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ফেসবুক লাইভে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান। একইসঙ্গে রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন তারা। ‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা’ দাবিতে এই কর্মসূচির ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সম্পাদনা: ইকবাল খান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :