সালেহ্ বিপ্লব, মাসুদ আলম: [২] রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে হানিফ ফ্লাইওভার এলাকায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে সিয়াম (১৮) নামের এক তরুণ। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, রাত ১২টার দিকে মৃত অবস্থায় তাকে জরুরি বিভাগের সামনে নিয়ে যান কয়েকজন। এরপর মরদেহ হাসপাতালের ভেতরে রেখে তারা অটোরিকশায় করে চলে যান।
[৩] এর আগে রাত সোয়া বারোটা পর্যন্ত যাত্রাবাড়ি থানার সামনে পুলিশের সঙ্গে দুর্বৃত্তদের সংঘর্ষ চলছিলো। পুলিশ আগেই জানিয়েছে, যাত্রাবাড়িতে জ্বালাও ও পোড়াওকারীরা কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নয়, দুর্বৃত্ত। সন্ধ্যায় তারা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন দেয়। পাশাপাশি রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন জিনিসপত্রে আগুন ধরায়। এরপর থেমে থেমে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটছে।
[৩] এর আগে সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর শনিরআখড়া ও দনিয়া এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের সময় শিশুসহ ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রাত ৮টায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
[৪] গুলিবিদ্ধরা হলেন, বাবু মিয়া (৫০) ও তার দুই বছরের ছেলে রোহিত মিয়া। এছাড়া পথচারী পিয়াস (১৭), মনিরুল (২০), সোহাগ (২৭) ও ফয়সাল (১৮)। এদের মধ্যে মাথায় গুলিবিদ্ধ ফয়সালের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
[৫] গুলিবিদ্ধ শিশু রোহিত মিয়ার মা লিপি আক্তার বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় আমার সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে বাসায় ছিলাম। এ সময় বাইরে চলা সংঘর্ষ থেকে গুলি এসে আমার স্বামী ও সন্তানের গায়ে লাগে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছি।
[৬] ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, সন্ধ্যার পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিশুসহ ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে শনিরআখড়া থেকে আসা ফয়সালের মাথায় গুলি লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে শিশু ও তার বাবাকে দনিয়া এলাকা থেকে বাকি ৪ জন পথচারীকে শনিরআখড়া এলাকা থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আপনার মতামত লিখুন :