সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশেপাশে এলাকা, নাখালপাড়া, মহাখালী ডিওএইচএস এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃক নতুন পাইপলাইন নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
[৩] পাশাপাশি এয়ারপোর্ট রোড, নাখালপাড়া লেভেল ক্রসিং থেকে তেজগাঁও রেলস্টেশনের দিকে প্রায় ৫১১ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিক স্যুয়ার লাইন সর্বোচ্চ ব্যাসের পাইপ দ্বারা নতুনভাবে নির্মাণ এবং পাগলার পুল ও হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) জামে মসজিদ সংলগ্ন কালভার্ট নতুনভাবে সিঙ্গেল ভেন্ট এ ডিজাইন করে উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে আহ্বান জানান।
[৪] তিনি বলেন, বিমানবন্দর রেলওেয়ের পূর্ব পাশের জলাধার ভরাট করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে বিমানবন্দর, উত্তরা ও দক্ষিণখান এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। অতএব এই গুরুত্বপূর্ণ জলাধারটি সংরক্ষণ করা আবশ্যক। এটি ভরাট করলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা তীব্র আকার ধারণ করবে।
[৫] মঙ্গলবার অনলাইনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, বাংলাদেশ রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের প্রতিনিধিবৃন্দ।
[৬] মীর খায়রুল আলম বলেন, বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলাকালে এয়ারর্পোট রোডে অপর্যাপ্ত সাইড ড্রেন নির্মাণ ও বিদ্যমান নেটওয়ার্ক সম্পন্ন হওয়ায় জলাবদ্ধতা বেড়েছে। এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে আমরা ইতোমধ্যে অনুরোধ জানিয়েছি। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি।
[৭] এ সময় তিনি আরও বলেন, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কাওলা ক্রস কার্লভার্টের উত্তর পাশে সিভিল এভিয়েশন খালের উভয়পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে খালের প্রশস্ততা পূর্বের তুলনায় অনেকটা কমে গিয়েছে। এছাড়া ওয়াকওয়ের পাশে স্তূপাকৃত মাটি জমে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খালের প্রশস্ততা ঠিক রেখে নির্মাণ কাজ করার জন্য সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে বলেন।
[৮] ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প কর্তৃক উন্নয়ন কাজ চলাকালীন সময়ে উত্তরাস্থ সেক্টর-২, ৪, ৬ ও ৮ এর পূর্ব পার্শ্বস্থ রেললাইন সংলগ্ন বিদ্যমান আরসিসি ড্রেন অক্ষত রাখা এবং উক্ত আরসিসি ড্রেনের পূর্ব পার্শ্বে বৃহৎব্যাসের পাইপ লাইন স্থাপনের বিষয়েও আমরা তাদের আহবান জানিয়েছি বলে জানান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
[৮] সবশেষে মীর খায়রুল আলম বলেন, সকল সংস্থা কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতেই হবে। শহরের জন্য এগুলো প্রয়োজন। কিন্তু শহরের পরিবেশ ঠিক রেখে, জলাবদ্ধতা যেন সৃষ্টি না হয় সেটি নিশ্চিত করে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয় না হলে শুধু সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের পক্ষে দ্রুত সময়ে ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দূর করা কঠিন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :