শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৫ জুলাই, ২০২৪, ০৯:১০ রাত
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাজধানীতে তীব্র যানজট, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

মাসুদ আলম: [২] সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার এবং আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেছে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এবার তাদের সঙ্গে এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীবাসী। 

[৩] সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। ফলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে রামপুরাগামী সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।   

[৩] সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থী নতুনবাজার মেইন রোডে জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।  আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘ কে রাজাকার কে রাজাকার, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার’, ‘আমি কে তুমি কে রাজাকার, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘ কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘দেশ কারো বাপের না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এতে করে খিলক্ষেত থেকে কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে  রামপুরাগামী প্রগতি সরণী সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া অরোধের ফলে গুলশানসহ আশপাশে সড়কের তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। 

[৪] সরেজমিনে আরও দেখা যায়, অবরোধের কারণে দীর্ঘসময় যান চলাচল না করায় যাত্রীদের যানবাহন থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। পরে প্রায় ৬ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে চলে গেলে প্রগতি সরণীতে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। 

[৫] এদিকে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে  বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে শাহবাগ, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, পল্টন, মতিঝিল, গুলিস্তানে যান চলাচল ব্যাহত হয়। সেসব রাস্তার দুই পাশে শতশত যানবাহন আটকে পড়ে। আর এর প্রভাব পড়ে রাজধানীর অন্যান্য সড়ক ও  অলিগলিতেও। 

[৬] ভাটারার বাসিন্দা তাসলিমা বেগম বলেন, সকালে মগবাজার আদ দ্বীন হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাসা থেকে বের হয়ে  বাঁশতলা বাসস্ট্যান্ড গিয়ে দেখি যানচলাচল বন্ধ। সড়কে কোনো গণপরিবহন নেই। সড়কে রিকশাও কম। পরে বাধ্য হয়ে হেঁটে ও রিকশায় গন্তব্যে যাই। শিক্ষার্থীদের অবরোধে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। 

[৭] খিলক্ষেতের বাসিন্দা বশির উদ্দিন বলেন, সকালে খিলক্ষেত থেকে বাড্ডায় যাওয়ার উদ্দেশে বাসে উঠি।  কিন্ত নতুনবাজার সড়ক অবরোধের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা বসে থাকার পর পায়ে হেঁটে গন্ত্যবে যাই। প্রায় ৬ ঘণ্টা সড়কটিতে যানচলাচল বন্ধ ছিলো। অনেকে অসুস্থ রোগী হাসপাতালে  যেতে না পেরে বাসায় ফিরে যান। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে প্রায় পুরো রাজধানীতে অসহনীয় যানজট দেখা গেছে। 

[৮] ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা বলেন, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করেন। আমরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েছি তারা যেন রাস্তা ছেড়ে চলে যান। পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এমএ/এসসি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়