ইমন হোসেন: [৩] এক সময় ঢাকার চারপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ছিল খালগুলো। নৌকা, স্টিমার চলতো এসব নদী-খালে। সে সময় নৌপথে মালামাল পরিবহন ও বাণিজ্যিক প্রসার ঘটে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপরূপ ছিল তখন ঢাকা। গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের হিসাবে ঢাকা শহরে ৫৬টি খালের অস্তিত্ব থাকলেও তার সবই এখন মৃত। (বাংলা ইনসাইডার)
[৪] সরকারি জরিপ অনুযায়ী, ঢাকায় আবাসন চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গত তিন দশকে ১ হাজার ৯০০টি সরকারি ও বেসরকারি পুকুর ভরাট করা হয়েছে। যেসব খাল ও পুকুর এখনো দখল বা ভরাট হয়নি সেগুলো ময়লা-আবর্জনার স্তূপে ঠাসা। ফায়ার সার্ভিসের সংরক্ষিত পানির বাইরে পানির বড় উৎস না পাওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে পানি সঙ্কটে পড়েন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। (সময় টিভি)
[৫] ঢাকার বাসিন্দারা জানান, বাসা বাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি এসে খালের পানিতে পড়ে। ময়লার স্তূপ জমে থাকায় খালের পানি প্রবাহ বন্ধ। যার জন্য বর্জ্যরে গন্ধে মানুষকে এখান দিয়ে হাঁটার সময় নাক চেপে হাঁটতে হয়। যারা খাল দখল করেছে তারা সবাই স্থানীয় প্রভাবশালী। (ইনকিলাব ০৭-০৭-২০২৪)
[৬] মৎস্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সাড়ে তিন দশকে হারিয়ে গেছে ঢাকার ১০ হাজার হেক্টরের বেশি জলাভূমি, খাল ও নিম্নাঞ্চল। জলাশয় ভরাটের এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৩১ সাল নাগাদ ঢাকায় জলাশয় ও নিম্নভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের ১০ শতাংশের নিচে নেমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। (নিউজনাও ইউটিউব)
[৭] এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে বেশ কিছু খালে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযান আরও বাড়ানো হবে। প্রতিটি খাল আগের কাগজপত্র অনুযায়ী ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।(ঢাকা পোস্ট ০৭-০৭-২০২৪)
[৮] বাংলাশে পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নগরীর খালগুলো ক্রমাগত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এখন যে কটি অবশিষ্ট আছে সেগুলোও ভরাট করা হচ্ছে। আমরা সবাই মিলে এ নগরটাকে হত্যা করেছি। ফায়ার ব্রিগেডের কাছাকাছি থাকা বঙ্গবাজারেরই যদি আগুন নেভাতে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়, তাহলে গোটা ঢাকা নগরই তো অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে। (বাংলা ট্রিবিউন ০৯-০৭-২০২৪)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :