ইমন হোসেন: [২] রাজধানীতে আইন অমান্য করে যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে শিল্প-কারখানা। ঢাকায় ছোট-বড় দুই লক্ষাধিক শিল্প-কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার গড়ে উঠেছে অবৈধভাবে, পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকাতে। (বাংলাদেশ প্রতিদিন ০১-০৭-২০২৪)
[৩] পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজধানীর পুরান ঢাকা খ্যাত ১০টি থানা এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ কারখানাগুলোর শতকরা ৮৫ ভাগই আবাসিক ভবন বা বাসাবাড়িতে। ভবনগুলোর অধিকাংশই আবার পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ। (সংবাদ ০২-০৭-২০২৪)
[৪] এসব কারখানা একদিকে যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, অন্যদিকে তারা প্রতিবছর চুরি করছে সরকারের কোটি কোটি টাকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস। (ঢাকা মেইল অনলাইন)
[৫] জানা যায়, কারখানার বিষাক্ত কেমিক্যাল বর্জ্য দূষিত করছে রাজধানীর নদী-নালা, খাল-বিল ও ঝিল। এমনকি অনেক কারখানা পাইপের মাধ্যমে মাটির নিচে বিষাক্ত বর্জ্য ঠেলে দিচ্ছে। এর ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও পড়তে যাচ্ছে দূষণের কবলে। ঢাকার আশীর্বাদ বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা নদীসহ পানির উৎসগুলো পরিণত হয়েছে দুর্গন্ধময় ময়লার উৎসে।
[৬] বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, পরিছন্ন ও পরিকল্পিত মহানগরীর জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন শহরের বাইরে গড়ে তোলা উচিত। আর অপরিকল্পিতভাবে যেসব কল-কারখানা গড়ে উঠেছে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রন বা বন্ধ করা জরুরি। (নতুন সময় ০২-০৭-২০২৪)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :