সুজন কৈরী: [২] নিহত জুবায়ের হাসান রাফিত (১৮) কমার্স কলেজের একাদশ বিজ্ঞান শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। শাহ আলী থানা জানায়, শনিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কলেজের পাশেই লাল বিল্ডিং এলাকায় সহাপাঠী রাজিন চৌধুরীর (১৮) সঙ্গে তার মারামারি হয়। রাজিনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় জুবায়ের। রাজিন পলাতক, এ ঘটনায় এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
[৩] শাহ আলী থানার ওসি মো. তারিকুজ্জামান বলেন, আমরা এখনো কারণ সম্পর্কে জানি না।
[৪] রাজিন চৌধুরীর বাবার নাম ইকবাল চৌধুরী। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। রাজিনের মা ঢাকার বাইরের একটি কলেজের শিক্ষিকা।
[৫] নিহত জুবায়েরের গ্রামের বাড়ির নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। তার বাবার নাম আবুল বাসার। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। ঢাকায় মামার বাসায় থেকে পড়াশোনা করত।
[৬] জুবায়েরের মামা মো. নুরুজ্জামান বলেন, সকালে কোচিং করার জন্য জুবায়ের বাসা থেকে বের হয়। পরে সে আর বাসায় না ফেরায় তাকে বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুঁজি করা হয়। সন্ধ্যায় কলেজের এক শিক্ষক জানান তাকে হত্যা করা হয়েছে। এসে দেখি কমার্স কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারের তৃতীয় তলায় আমার ভাগিনা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
[৭] কিছুদিন আগে কলেজের কিছু বন্ধুর সঙ্গে জুবায়েরের ঝগড়া হয়েছিল। ওই ঘটনা কলেজের শিক্ষকরা মিটমাট করে দেন। তখন শিক্ষকরা তাকে বলেছিল তার বন্ধুরা ভালো না। তাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে। তারাই জুবায়েরকে হত্যা করেছে বলে ধারণা নুরুজ্জামানের।
[৮] ঢাকা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ আবু মাসুদ জানান, ঘটনা জানার পরে আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে। তবে তারাও হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে পারেননি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :