সুজন কৈরী: [২] গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মামুন হোসেন, আবু বক্কর ও হাসিবুল ইসলাম। রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে মঙ্গলবার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনটির এই সক্রিয় সদস্যদের গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
[৩] ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মামুন জানান, তিনি অনলাইনে মুফতি জসিমউদ্দিন রহমানী ও তামিম আল আদনানির বক্তব্য শুনে উগ্রবাদের দিকে আকৃষ্ট হন। পরে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইনে বিভিন্ন আইডির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আনসার আল ইসলাম সংগঠনের হয়ে কাজ শুরু করেন।
[৪] সংগঠনের সদস্য নাজমুল হাসান ওরফে ওসমান ও আবু কায়সার ওরফে রনির সঙ্গে মামুনের অনলাইনে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। রনি মামুনকে জানায় ‘পটাশিয়াম নাইট্রেট’ দিয়ে বিস্ফোরক বা বোমা বানানো যায়। সেই সঙ্গে আলীবাবা ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করার জন্যও মামুনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
[৫] ডিসি ফারুক জানান, নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে একত্রিত হলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সংক্রান্তে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ২০১৯ সালে গেন্ডারিয়া থানায় একটি মামলা হয়। এ ঘটনার সহযোগী নাহিদ ফেরদাউস, মালয়েশিয়ায় এবং জ্যাক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় তাদের চিহ্নিত কিংবা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
[৬] ওই ঘটনার পর মামুন গ্রেপ্তার হন। পরে কারামুক্ত হয়ে ২ জুলাই অপর গ্রেপ্তার আবু বক্করের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। মামুন আবু বক্করকে সংগঠনের নাহিদ ফেরদাউসের বিষয়ে বলে এবং নাহিদের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেন। আবু বক্কর কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে অনলাইনে নাহিদ ফেরদাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নাহিদ ফেরদাউস সংগঠনের জন্য বিদেশ থেকে আবু বক্করের কাছে নিয়মিত অর্থ পাঠান।
[৭] আবু বক্কর এই অর্থ সংগঠনের কাজে ব্যবহার করেন। নাহিদ ফেরদাউস সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জ্যাকের সঙ্গে আবু বক্করকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং জ্যাক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছে বলে জানান। জ্যাক আনসার আল ইসলাম সংগঠনে নিয়মিত অর্থায়ন করে বলেও জানান।
[৮] ফারুক আরও বলেন, গ্রেপ্তার আবু বক্কর অপর গ্রেপ্তার হাসিবুলকে আনসার আল ইসলামের দাওয়াত দেন এবং নাহিদ ফেরদাউস ও জ্যাকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। হাসিবুল, নাহিদ ও জ্যাকের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন। জনশক্তি বিদেশে পাঠানোর আড়ালে আনসার আল ইসলাম সংগঠনের সদস্যদের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে এবং দেশে আনসার আল ইসলামের নেটওয়ার্ক স্থাপন করেন। বিদেশে অবস্থানরত সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশে নাশকতার পরিকল্পনা করে।
[৯] গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :