শিরোনাম
◈ প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে অচল ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয় ◈ ব্যয়ের ক্ষেত্রে আবারও কৃচ্ছ সাধনের নীতিতে সরকার ◈ বিহারে আরও তিনটি সেতু ভেঙেছে ◈ মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর ◈ ওমান শিগগিরই বাংলাদেশীদের জন্য ওয়ার্কিং ভিসা চালুর চেষ্টা করছে ◈ ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মুশতাক-ফাওজিয়া ◈ সিলেট কাস্টমস কমিশনার এনামুল হকের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ ◈ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার কিছু নেই: ড. ইউনূস ◈ কোটা সরকার বাতিল করেছিল আদালত বহাল রেখেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ০১ জুলাই, ২০২৪, ০৮:৩৩ রাত
আপডেট : ০১ জুলাই, ২০২৪, ১০:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রামচন্দ্রপুর খালের পাশে তৈরি হবে ওয়ার্কওয়ে, সাইকেল লেন, সবুজ বেষ্টুনি ও পার্ক 

সুজিৎ নন্দী: [২] উত্তর সিটি করপোরেশন মোহাম্মদপুরের কাছে রামচন্দ্রপুরে দখল হওয়া সরকারি খাস জমি উচ্ছেদ করার পরে গত দুই দিনে চলছে খাল থেকে ময়লা তোলার কাজ। আগামীতে যেন নতুন করে কেউ খাল ভরাট করতে না পারে সেজন্য খালের একাংশে পার্ক, শিশুদের খেলার জায়গাসহ একাধিক পরিকল্পনা এরই মধ্যে শুরু করেছে। উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বস্তি, রাজনৈতিক দলের অস্থায়ী কার্যালয়, মুদি দোকান ও আলোচিত সাদিক এগ্রোর পশুর খামার ভেঙে দেওয়া হয়।   

[৩] উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, খাল দখল করে যারা স্থাপনা করে ভোগ দখল করে আসছিলো তা উচ্ছেদ করে আওতাধীন খালগুলোতে সুষ্ঠু পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা করে জলাবদ্ধতা নিরসন করা, জীবনযাত্রার মান ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, খালগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং পরিচালনার মাধ্যমে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা।

[৪] এরই মধ্যে মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, খাল ঘিরে তৈরি হবে সেতু, সুরক্ষা বেষ্টনী ও ওয়াকওয়ে। থাকবে ফোয়ারা, বিনোদনকেন্দ্র, সাইকেল লেন ও নান্দনিক বাতির ঝলকানি। ইতোপূর্বে ধাপে ধাপে স্থানীয় ক্ষমতাসীন ব্যক্তি ও কয়েকটি আবাসন প্রকল্প মিলে এই খালটি দখল করে। 

[৫] সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন করে আশা দেখতে শুরু করেন স্থানীয়রা। স্থানীয় একাধিক প্রবীন ব্যক্তি জানান, একসময় এই খালের প্রস্থ ছিল প্রায় ১শ’ ফুটের মতো। মাঝে এটি পুরোপুরি ভরাট করে ট্রাকস্ট্যান্ড বানানো হয়। পরে ওয়াসা থেকে খালটির দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পর মেয়র আতিকুল ইসলাম সেই স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে নতুন করে খাল খনন কাজ শুরু করে।  

[৬] স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাস্তা, ফুটপাত, মিডিয়ানসহ অন্যান্য এলাকা থেকে বৃষ্টির পানি বিভিন্নভাবে খালে যায়। অবৈধ দখল ও ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় ড্রেনেজ লাইন থেকে যথাযথভাবে পানি নিষ্কাশিত হতে পারে না। নগরীর আকার-আয়তন বাড়লেও জলাশয় ও খাল কমেছে। বর্ষাকালীন বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। খালের পানিপ্রবাহ ঠিক না থাকায় মশা বংশবিস্তার করছে। বাড়ছে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। 

[৭] এলাকার একাধিক প্রবীন ব্যক্তি জানান, আমরা আমাদের ন্যায্য জায়গা ছাড়া খালের জায়গাও চাই না। খাল দখলমুক্ত করে খনন করা হোক, যেন খালে আগের মতো পানি সরবরাহ হতে পারে। খাল দখলমুক্ত দেখতে চাই। খালের পাড়ে কোনও বস্তি থাকুক সেটাও চাই না। 

[৮] বস্তিতে বসবাসকারী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের এখানে বাস করার সুযোগ করে দেয় স্থানীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা। পরবর্তী সময়ে তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ ও  পানির বিল বাবদ টাকা নেওয়া হতো। 

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়