রিয়াদ হাসান: [২.১] ঈদুল আজহার ছুটিতে বরাবরের মতো এবারও রাজধানী ছেড়েছে লাখ লাখ মানুষ। ঈদের ছুটি শেষে বুধবার সরকারি ও বেসরকারি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও এখনও ঢাকা ফেরেননি অনেকে। ফলে রাজধানীর সড়কগুলোতে যেমন মানুষের চাপ নেই, তেমনি নেই যানবাহনের চাপও।
[২.২] একদিন পর আবারও দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় (শুক্রবার ও শনিবার) আগামী সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস (রবিবার) থেকে নগরবাসী ফের কর্মব্যস্ত জীবনে ফিরতে পারেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এদিকে বুধবার দুপুরে এক পশলা বৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীতে বিরাজ করছে স্বস্তির পরিবেশ।
[৩] সরেজমিন দেখা যায়, নগরীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর রোড, শাহবাগ, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন সড়ক ফাঁকা ও কোলাহলমুক্ত। কোথাও কোনো যানজট দেখা যায়নি। যেসব গন্তব্যে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লেগে যেত, সেগুলো এখন যাওয়া যাচ্ছে ১৫ থেকে ২০ মিনিটে।
[৪] সড়কগুলোতে যানবাহন ও যাত্রী উপস্থিতি একেবারেই কম। রাস্তায় কিছু বাস চললেও যাত্রী খুব কম। অপরদিকে কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়।
[৫] নিউমার্কেট থেকে রিকশায় করে ২৫ মিনিটে তেজগাঁও পৌঁছেছেন মো. ইমরান। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা, তাই রিকশায় চড়ে মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিটে তেজগাঁও চলে আসলাম। রাস্তা ফাঁকা কোনো যানজট নেই ভালোই লাগছে। দুপুরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় পরিবেশটাও ঠান্ডা বেশ এনজয় করছি।
[৬] এদিকে, কথা হয় রাজধানীর কলাবাগানের বাসিন্দা আদনানের সঙ্গে। তিনি জানান, ঈদে সবচেয়ে ভালো লাগে ঢাকার ফাঁকা রাস্তা। আমরা যারা সারা বছর ঢাকায় থাকি, তারা ঢাকার বাইরে না গেলে খুব একটা ফাঁকা রাস্তা চোখে পড়ে না। শুধু ঈদ এলে ঢাকার রাস্তায় স্বস্তি পাওয়া যায়। কোলাহলমুক্ত রাস্তায় পরিবার নিয়ে বের হয়েছি। বেশ ভালো লাগছে।
[৭] রাস্তা ফাঁকা হলেও অল্প পরিসরে চলছে গণপরিবহন। ঈদুল আজহায় যারা রাজধানীতে রয়ে গেছেন, তারা এই ছুটিতে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাচ্ছেন, কেউ ঘুরতে বের হচ্ছেন। এ কারণে স্বল্পসংখ্যক যাত্রী নিয়েই চলাচল করছে গণপরিবহনগুলো। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :