রিয়াদ হাসান: [২] স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঈদুল আজহার ছুটিতে রাজধানী ছেড়েছেন নগরবাসি। কেউ গেছেন গ্রামের বাড়িতে, আবার কেউ পরিবার নিয়ে বেড়াতে গেছেন কোনো পর্যটন স্থানে। লাখো মানুষ শহর ছাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সড়কগুলোতে। ফাঁকা রাস্তায় বাধাহীন ছুটে চলায় দেড় ঘণ্টার পথ নেমে এসেছে ২০ মিনিটে।
[৩] মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর গুলিস্তান, শাহবাগ, ফার্মগেট, মগবাজার, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও ও মহাখালিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
[৪] সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদের ছুটির কারণে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো এখন অনেকটাই ফাঁকা। গণপরিবহন চলছে অন্যদিনের তুলনায় খুবই কম। সড়কজুড়ে চলাচল করছে কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা।
[৫] রাস্তায় বের হওয়া মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করে জানান, ঈদের ছুটিতে রাস্তা ফাঁকা থাকায় এক ঘণ্টার রাস্তা ১৫ থেকে ২০ মিনিটে যাওয়া যাচ্ছে। তবে যাত্রিরা ঈদ বকশিশের নামে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে।
[৬] রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বেটারী চালিত রিকশায় করে ১৫ মিনিটে ফার্মগেট এলাকায় পৌঁছেছেন মিডিয়াকর্মী শিমুল চেীধুরী। তিনি বলেন, ঈদের ছুটির কারণে সড়কে যানবাহন কম থাকায় কোথাও যানজটে পরতে হয়নি। যেখানে প্রতিদিন আমার ৪০মিনিটের মতো সময় লাগতো আজ ১৫মিনিটে চলে এসেছি।
[৭] এদিকে, রাজধানীর মৎসভবন এলাকায় কথা হয় ঘুরতে বের হওয়া যাত্রী আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবারের ঈদ ঢাকায় পালন করেছি। অনেক মানুষ বাড়ি চলে যাওয়ায় রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা তাই ঘুরতে বের হয়েছি। যানজট বিহীন রাস্তায় রিকশায় ঘুরতে ভালই লাগছে। সময়ও খুব কম লাগছে।
[৮] সাইনবোর্ড থেকে চন্দ্রাগামী ঠিকানা বাসের চালক নুরুল আমীন জানান, রাস্তায় এখন চাপ নেই, যাত্রির সংখ্যাও কম। মাঝেমধ্যে কিছু যাত্রি পাওয়া যাচ্ছে। সাইনবোর্ড থেকে সাভার পর্যন্ত দুই ট্রিপ দিয়েছি কোথাও কোনো যানজটে পড়তে হয়নি।
[৮.১] বাড়তি ভাড়া আদায়ের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে গাড়ি নিয়ে বেড় হইছি ৫, ১০ টাকা তো বকশিশ হিসেবে চাইতেই পাড়ি। সবাই তো দেয় না, কেউ কেউ আবার নিজ থেকেই দেয়। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
আরএইচ/একে
আপনার মতামত লিখুন :