মোস্তাফিজুর রহমান: বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টর ১২ নম্বর রোডে স্বামীর ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আবিদ বলেন, দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে আমি (আশরাফ আবিদ) আর হুমায়রা আলম আফরা (২৭) বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিকেলে অফিস থেকে এসে আমি কম্পিউটারে বসে ছিলাম আমার স্ত্রী ইফতার বানানোর ব্যস্ত ছিল সে সময় আমাকে কাজের সহযোগিতা করতে ডেকেছিল আমি শুনতে পাইনি।
পরে এ নিয়ে আমার সঙ্গে অনেক রাগারাগি দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয় । হঠাৎ সে পাশের রুমে গিয়ে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে বাসার আশেপাশের লোকজন এবং কেয়ারটেকারের সহযোগিতায় সেখান থেকে নামিয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিকেলে নিয়ে যাই।
পরে সেখান থেকে রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতের বাবা মাহাবুবুল আলম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তারা সম্পর্ক করে বিয়ে করলেও মেনে নিয়েছি বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে বিভিন্ন সময় সামান্য বিষয় নিয়ে মেন্টালি টর্চার, মারধর করতো আবিদ। আমার মেয়ে তা মেনে নিয়ে হাসিখুশিভাবেই সংসার করতো। বিকেলেও আমি মেয়েকে মার্কেট করার জন্য বিকাশে টাকা পাঠিয়েছি।
সন্ধ্যার দিকে আবিদ মোবাইলে বলে সে সুসাইড করেছে। পরে উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল থেকে মেয়েকে নিয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসা দিতে ঘোষণা করেন।
আবিদ আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। আমি এর বিচার চাই।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উত্তরা পশ্চিম থানায় অবগত করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :