মাসুদ আলম : [২] ‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’ নামে একটি ভুঁইফোড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনির খান ওরফে দর্জি মনির। মঙ্গলবার ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাদী রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলাটি করেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
[৩] কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, একটি ছোট দর্জির দোকানের চাকরি করতো মনির। হঠাৎ করে তিনি নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। ক্রমেই বাড়তে থাকে তার রাজৈনতিক পদ-পদবীর সংখ্যা। একেক সময়ে একেক রাজনৈতিক পদবী ব্যবহার করে নিজের পরিচয় দেন তিনি। একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ছাড়াও আরও অনেক মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে নিজের ছবি কম্পিউটার সফটওয়্যার মাধ্যমে এডিট করে বসিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
[৪] তিনি আরও বলেন, তিনি এবং তার সহযোগীরা ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেন। মনির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে তিনি নিজেকে ঢাকা ২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার করে এলাকার মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সৃষ্টি করেন।
[৫] মামলার বাদীর কাছে গত ৩০ জুলাই মনির তার সংগঠনের পদ প্রদানের ও বিভিন্ন বড় বড় নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করে দেয়ার নাম করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
আপনার মতামত লিখুন :