রাশিদ রিয়াজ : স্কুলের গণকবরে সহস্রাধিক আদিবাসী শিশুদের লাশ পাওয়া বিক্ষুব্ধরা কানাডার বিভিন্ন স্থানে এসব ভাস্কর্য ভাংচুর করে। তিনটি গণকবরে এসব স্কুল শিক্ষার্থীদের লাশ পাওয়া যায়। উনিশ শতক থেকে ৭০এর দশক পর্যন্ত অন্তত দেড় লাখ আদিবাসী শিশুকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত ও ইংরেজিতে কথা বলার জন্যে চাপ সৃষ্টি করে ক্যাথলিক স্কুলগুলো। তাদের এজন্যে গালাগালি ও মারধর করা হয়েছিল। নির্যাতনে তাদের অনেকের মৃত্যু ঘটে এবং শেষ পর্যন্ত গণকবরে স্থান হয়। সে সময় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও রানি ভিক্টোরিয়া ক্ষমতায় ছিলেন এবং আদিবাসী শিশুদের নির্যাতন করে মৃত্যুর ব্যাপারে তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। বিষয়টিকে ঔপনিবেশিক আচরণের সঙ্গে তুলনা করে ক্ষব্ধ ব্যক্তিরা তাদের ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলছে। ডেইলি মেইল
বিক্ষুব্ধরা ক্যাপ্টেন কুকের ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলে। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এধরনের ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সেখানকার মুখপাত্র। তবে ঘটনাস্থলে ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার সময় কোনো পুলিশ দেখা যায়নি। বিক্ষুব্ধরা বাম ঘরানার রাজনীতিতে বিশ্বাসী এবং ঔপনিবেশিকতা বিরোধী। তারা এধরনের বিক্ষোভের জন্যে কানাডার জাতীয় দিবসকে বেছে নেয়। ভাস্কর্যগুলোর গলায় দড়ি বেধে টানতে থাকলে সেগুলো ভূপাতিত হয়। এসময় বিক্ষুব্ধরা গণহত্যার বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে।
https://videos.dailymail.co.uk/preview/mol/2021/07/02/3456902214147657453/636x382_MP4_3456902214147657453.mp4
আপনার মতামত লিখুন :