মনিরুজ্জামান :[২] শনিবার বিকালে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া হিরন পয়েন্টে এ দৃশ্য দেখা যায়।
[৩] মোটরসাইকেলে থাকা নারীর নাম রেহানা পারভীন (৫০)। তিনি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সূর্যপাশা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল হাকিম মোল্লার স্ত্রী। রেহানা নলছিটি বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মোটরসাইকেলচালক তারই ছেলে কৃষি ব্যাংক ঝালকাঠি সদর শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান টিটু।
[৪] বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট তৌহিদ টুটুল বলেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী মোটরসাইকেল আরোহীকে ধরে রোগী বসে ছিলেন। যিনি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন তিনি হেলমেটপরা ছিলেন। তার চেহারা আমরা দেখতে পারিনি বা দেখার চেষ্টাও করিনি। তাদের থামিয়ে হয়তো পরিচয় শনাক্ত করতে পারতাম, কিন্তু সেটি হতো অমানবিকতা। পরে জানলাম তারা মা-ছেলে।
[৫] ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই চেকপোস্টে দায়িত্বরত সার্জেন্ট টুটুলের প্রশংসা করছেন।
[৬] টিটুর বড়ভাই পুলিশের উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান মিঠুর বন্ধু কেএম সবুজ জানান, গত বুধবার রেহানা পারভীনের করোনা পজিটিভের রিপোর্ট আসার পর বাসায়ই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। শনিবার হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে দুপুর আড়াইটায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে টিটু তার মাকে ভর্তি করে। এখন সেখানেই চিকিৎসা চলছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :