বাশার নূরু: [২] এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরমের সমন্বয়ক ও সিপিডি’র বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য রবিবার ‘চালের দাম বৃদ্ধির কারণ এবং তাতে কার লাভ কার ক্ষতি’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় এই আহ্বান জানান।
[৩] তিনি বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের মূল অস্ত্র মজুদ বৃদ্ধি এবং পাশাপাশি সংগ্রহ অভিযান জোরদারে সফলতা পায়নি। দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে সংকেত দিতে হলে উৎপাদনের সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য প্রাক্কলনে নীতি-নির্ধারকদের পরামর্শ দেন ড. দেবপ্রিয়।
[৪] অনলাইন আলোচনার আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম। আলোচনায় নওগাঁ, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকরা অংশ নেন। এতে ধান-চালের দর বৃদ্ধির জন্য সরকারের নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গিকে দায়ী করেন তারা।
[৫] তারা জানান, সরকার মিলারদের কাছ থেকে ধান-চাল না কিনে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কিনলে কৃষকরা যেমন ন্যায্য দাম পেতেন, তেমনি দর নিয়ন্ত্রণও সহজ হতো। আলোচনায় তাদের মধ্যে অনেকে বলেন, সরকার যে চাল কিনছেন তা তারা জানেন না। এ ছাড়া বাজার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ে সরকারের দুর্বলতা এবং ছোট ছোট অনেক হাসকিং মিল বন্ধ হওয়ায় চালের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন আলোচকরা। তবে, বোরোর উৎপাদন ঘরে উঠলে চালের দাম ৫০ টাকার মধ্যে নেমে আসবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন সরকারি কর্মকর্তারা।
[৬] কৃষি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক অভিযোগ করেন, দেশবিরোধী পাকিস্তানের দোসররা ধান-চালের দাম নিয়ে খেলা করছে। দর বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও কৃষক কিংবা ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :