শিমুল মাহমুদ: [২] ভোলা-৩ আসনের এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে। এতে উপকূলের জনগণের ঝুঁকিও বেড়েছে। সরকার এই ঝুঁকি মোকাবেলায় আপ্রাণ চেষ্টা করছে। বাজেটের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ইতোমধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেশকিছু প্রকল্প নেয়া হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি আরও কিছু প্রকল্প নেয়া হবে।
[৩] গ্লেরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি বলেন, আম্ফান পরবর্তী সময়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভেঙে যাওয়া বাঁধ সংস্কার করেছি। তারপরও উপকূলের মানুষের নানা ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
[৪] সংলাপে বক্তারা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) দূত সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল সফরের আহ্বান জানিয়ে বলেন, উন্নত বিশ্বের অমানবিক আচরণের কারণে উপকূলের জনগণের দুর্ভোগের কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা দরকার। দায়ী দেশগুলোর কাছ থেকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
[৫] বক্তারা আরও বলেন, অতীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণে বিভিন্ন প্রকল্প নেয়া হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও অনিয়মের কারণে প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার পর হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প খুব বেশি কাজে আসেনি। তাই সঠিক গবেষণার মাধ্যমে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
[৬] ‘আম্ফান পরবর্তী সময়ে কেমন আছে উপকূলবাসী’ শীর্ষক অনলাইন সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সম্পাদনা: বাশার নূরু
আপনার মতামত লিখুন :