ডেস্ক রিপোর্ট : স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব শিগগিরই দেশের সব কওমি মাদ্রাসা খুলে দিতে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কওমি আলেমরা।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাদ্রাসা খুলতে চান সে সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা সরকারের কাছে জমা দেবেন আলেমদের প্রতিনিধিরা।
বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তারা। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
জানা যায়, জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সহ-সভাপতি ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ ও মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ এবং বোর্ডের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলীসহ কওমি আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবে।
মাদ্রাসা খোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি ‘অনুরোধবার্তা’ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে জমা দেবেন আলেমরা।
এ প্রসঙ্গে প্রতিনিধি দলের প্রধান জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সহ-সভাপতি ড. মুশতাক আহমদ বলেন, আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই থেকে দেশের সব হাফিজিয়া মাদ্রাসা চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার। সে ধারাবাহিকতায় কোরবানির আগে মাদ্রাসার অন্য বিভাগগুলো খোলারও অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন অনুমতি দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে আমরা বিষয়টি নিয়ে বসেছি। তার পরামর্শেই এখন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরআন-হাদিস চর্চার কেন্দ্রস্থল কওমি মাদ্রাসাগুলো পরিচালনার ব্যাপারে আমরা সরকারকে আশ্বস্ত করতে চাই। আশা করি, এ বৈঠক ফলপ্রসূ হবে।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর কারণে দেশের প্রায় ২২ হাজার কওমি মাদ্রাসার ২৫ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী গত শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারেনি। ঈদুল ফিতরের পর কওমি মাদ্রাসাগুলোর নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও করোনার কারণে তা স্থগিত রাখা হয়।
এর আগে দেশের সব হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও হিফজখানা ১২ জুলাই থেকে চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত ৮ জুলাই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
সেখানে বলা হয়, এসব মাদ্রাসাকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও হিফজখানার কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়।
এসব মাদ্রাসার নিরবচ্ছিন্ন অধ্যবসায়ের আবশ্যকতার কথা উল্লেখ করে কার্যক্রম চালুর বিষয়ে দেশের আলেমরা আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও হিফজখানা খোলার অনুমোদন দেয়া হয়।
এরও আগে ১ জুন দেশের কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রী ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অফিস খোলার অনুমতি দেয়া হয়।যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :