মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনা পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান রপ্তানিখাত পোশাক শিল্পসহ রপ্তানিখাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সহজ শর্তে ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলেও অনেক উদ্যোক্তা আবেদন করেও এ ঋণ পাননি। মঙ্গলবার পর্যন্ত ঋণ আবেদনের জন্য বিজিএমইএ-এর সনদ নিয়েছে ১ হাজার ৩৭৭টি কারখানা এবং বিকেএমইএ এর কাছ থেকে সনদ নিয়েছে ৫১৯টি কারখানা।
[৩] বুধবার বিজিএমইএ’র সভাপিত ড. রুবানা হক ও বিকেএমইএ সভাপতি এ.কে.এম সেলিম ওসমান স্বাক্ষরিত এক যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
[৪] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক সমস্যা কোভিড-১৯ এর প্রভাবে যখন সমগ্র বিশ্ব অর্থনীতির গতি প্রকৃতি নড়ে গেছে, যার প্রত্যক্ষ প্রভাবে দেশের প্রধান রপ্তানিখাত তৈরি পোশাক শিল্পখাতও বিপর্যস্ত, ক্রেতারা একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল করছেন। এই সময়ে শ্রমিকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে একটি মহল তাদেরকে ব্যবহার করে শিল্পে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
[৫] বলা হয়েছে, শ্রমিকদের এই আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীরাও রয়েছেন, যারা প্রকৃত শ্রমিক নন। যে সব কারখানার কর্ম পরিবেশ ভালো, বেতন ভাতাও নিয়মিত পরিশোধ করা হয়, সেগুলোও আন্দোলনের নামে ভাংচুর করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে।
[৬] জানানো হয়, মঙ্গলবার পর্যন্ত ডিবিএল, ওপেক্স, মেডলার, ইমপ্রেস, ভিশন, ডিজাইনটেক্স, সেনটেক্স, সিভিক এপারেলস লিঃ ও ফকির নিটওয়্যারসহ অনেক পোশাক কারখানা ভাংচুর করা হয়েছে।
[৭] বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এ নৈরাজ্যজনক কর্মকাণ্ড বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছে। এই অরাজকতা রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
[৮] বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মনে করে, বর্তমান সংকটময় মূহুর্তে বেতন বোনাস ইস্যুতে কারখানা ভাংচুর করার যৌক্তিকতা নেই। কারখানাগুলো সংকটের মধ্যে থেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করে বেতন ভাতা পরিশোধ করছে। কিছু কারখানায় অবশ্য ব্যতয় ঘটছে। এসব কারখানার অনেকেরই হাতে এখন কোন কাজ নেই।