সালেহ্ বিপ্লব : [২] আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন, সুপার সাইক্লোনটি কিছুটা দিক পরিবর্তন করে এগোচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে খুলনা-বাগেরহাট ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করবে আম্ফান। এসময় উপকূল ও চরাঞ্চলে ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
[৩] আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান জানিয়েছেন, মোংলা ও পায়রা বন্দর রয়েছে ঘুর্ণিঝড়টির গতিপথের সবচেয়ে কাছে। বন্দরের আশপাশের অঞ্চলও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
[৪] আবহাওয়া অফিস সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, আম্ফান বঙ্গোপসাগরের আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে বুধবার বিকেলে বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সুপার ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুপার ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
[৫] ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, বুধবার বিকেল নাগাদ পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তে চলেছে সাইক্লোন আম্ফান, সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়ে তারপর দুর্বল হয়ে পড়বে সেটি। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে উড়িষ্যায় ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
[৬] ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান এসএন প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, আজ বুধবার পশ্চিমবঙ্গের দিঘা হয়ে বাংলাদেশের হাতিয়ার দিকে যাবে সাইক্লোন আম্ফান।
[৭] আনন্দবাজার পত্রিকা বলেছে, পশ্চিমবঙ্গের আরও কাছে চলে এসেছে সুপার সাইক্লোন। রাত সাড়ে আটটায় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে দিঘা থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় আমপান। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে রয়েছে। বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। স্থলভাগে যখন আছড়ে পড়বে ঘূর্ণনের গতিবেগ হবে ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। এমনকি তা ১৮৫ কিলোমিটারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে হবে প্রবল জলোচ্ছ্বাস।
আপনার মতামত লিখুন :