ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও মংলা নৌঅঞ্চলে নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ সমুদ্র ও উপক‚লীয় এলাকায় দ্রুততম সময়ে জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় অনুসন্ধান কাজের জন্য নৌবাহিনীর দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট এবং দুটি হেলিকপ্টার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। একই সঙ্গে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুরসহ উপক‚লীয় দূর্গত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য নৌ কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
[৩] ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী সমুদ্র ও উপক‚লীয় উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য প্রথমে নৌবাহিনীর দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও দুটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নৌবাহিনী জাহাজসমূহ উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ সহায়তা কার্য পরিচালনা করবে। প্রাথমিকভাবে এ উদ্ধার কাজের জন্য বানৌজা সমুদ্রজয় ও সমুদ্র অভিযান কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকায়, বানৌজা গোমতি মংলা ও তৎসংলগ্ন সাগর তীরবর্তী এলাকায় নিয়োজিত থাকবে।
[৪] অন্যদিকে বানৌজা সুরভি চট্টগ্রামের বহিঃনোঙ্গর থেকে মহেশখালি এলাকায়, বানৌজা বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, প্রত্যয়, সংগ্রাম ও প্রত্যাশা বহিঃনোঙ্গর থেকে চট্টগ্রামের পোতাশ্রয় এলাকায়, বানৌজা দূর্জয়, নির্মূল ও শাপলা চট্টগ্রামের উপক‚লীয় এলাকায়, বানৌজা অতন্দ্র সন্দীপ ও তৎসংলগ্ন উপক‚লীয় এলাকায়, বানৌজা অপরাজেয় হাতিয়া এলাকায় নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে কাপ্তাই নৌঘাটি বানৌজা শহীদ মোয়াজ্জম হতে বোট নিয়োজিত থাকবে।
[৫] উপকূলীয় জেলা ভোলা, নোয়াখালি, ফেনী ও লক্ষীপুরে নৌবাহিনীর এলসিইউ-০১ এবং এলসিইউ-০২, বরিশাল ও আশেপাশের এলাকায় বানৌজা হাতিয়া, সন্দীপ, শাহ পরাণ এবং শাহ মখদুম, বরগুনা, বরিশাল, সাতক্ষিরা ও ঝালকাঠির অভ্যন্তরীণ রুটে নৌবাহিনীর এলসিটি-১০৪ এবং এলসিটি-১০৫ এবং কর্নফুলী চ্যানেলে বানৌজা খাদেম নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া পরিস্থিতি বিবেচনায় দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় জীবন রক্ষাকারী ঔষধ, স্যালাইন ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকবে।
[৬] ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে উপক‚লীয় অঞ্চলের জনগনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে খুলনা নৌঅঞ্চলের দুটি জাহাজ সাতক্ষিরা ও দুবলার চরের উদ্দেশ্যে খুলনা নৌ জেটি ত্যাগ করেছে। সড়কপথে ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিমসহ ২৪ জন নৌসদস্যের একটি টিম দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার কার্যে সহায়তার জন্য সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিযেছে।
[৭] এছাড়া বরিশাল, বরগুনা ও পটুয়াখালীতে টহলরত তিনটি জাহাজকে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী প্রাথমিক রেসপস জাহাজ হিসেবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ঝড়ের তীব্রতা ও আঘাতের প্রকোপ পর্যবেক্ষণের পর নৌবাহিনীর আরও পাঁচটি জাহাজ বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :