সুজন কৈরী : [২] ঘরে বসেই মিলছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। এর মাধ্যমে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ৬টি থানা এলাকার বাসিন্দারা বাসায় বসেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পাচ্ছেন। পাওয়া যাচ্ছে শিশুখাদ্য এবং ওষুধও।
[৩] করোনাভাইরাসে পুরো রাজধানীতে চলছে অঘোষিত লকডাউন। অনেক এলাকা করোনার হটস্পট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও নিত্য প্রযোজনীয় দ্রব্যসামগ্রী কিনতে রাজধানীর অনেকেই বাসা থেকে বের হচ্ছেন। যা সামাজিক সংক্রমণের একটি অন্যতম কারণ।
[৪] জনসাধারণকে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষাসহ কেনাকাটার সহায়তায় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ গত ১ মে থেকে ওই অ্যাপটি চালু করে। এতে পুলিশকে সহযোগিতা করছে একদল স্বেচ্ছাসেবক। এতে ঘরে বসেই পাওয়া যাবে নিত্য প্রযোজনীয় পণ্যসামগ্রী। অ্যাপটি ব্যবহার করে তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও, হাতিরঝিল, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, আদাবর, শেরেবাংলা নগর ও মোহাম্মদপুর থানার নাগরিকরা ঘরে বসেই চাল, ডাল, তেল-লবণসহ ২০টির বেশি নিত্যপণ্য কিনছেন। ইতিমধ্যে অ্যাপটির সুবিধা ভোগ করেছেন অন্তত ৫ শতাধিক নাগরিক।
[৫] পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে ওয়েভবিডি ডটকম লিংকে গিয়ে সেট আপ ইউর লোকেশন বাটন ক্লিক করে থানা নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচনকৃত থানার বাজারটিতে ক্লিক করে আইটেম নির্বাচন করতে হবে। অ্যাপটি সব প্লাটফর্মে ব্যবহার উপযোগী।
[৬] ছয়টি থানার প্রত্যেক এলাকায় রয়েছে একদল স্বেচ্ছাসেবক টিম। তারা নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী বাসায় গিয়ে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে।
[৭] হাতিরঝিল এলাকার একজন স্বেচ্ছসেবক বলেন, ওই এলাকায় ১২ থেকে ২০ জনের একটি টিম রয়েছে। কন্ট্রোল প্যানেল পণ্যসমাগ্রীর তালিকা গ্রহণের পর তা স্বেচ্চাসেবক গ্রুপে দিচ্ছে। এরপর স্বেচ্ছাসেবকরা সেসব পণ্য সংশ্লিষ্ট বাসায় পৌঁছে দিচ্ছে।
[৮] ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, করোনা থেকে সুরক্ষায় সরকার ঘরে থাকার নির্দেশনা দিলেও অনেক নাগরিক বাইরে বের হচ্ছেন। আবার অনেকের নিত্যপণ্য কিনতেও সমস্যা হচ্ছিল। নাগরিকদের এ সমস্যা নিরসনে অ্যাপটি চালু করা হয়েছে। কোনো নাগরিক পণ্যেও চাহিদার কথা অ্যাপে জানানোর পর সে অনুযায়ী পণ্য কিনে ভাউচারসহ স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা ওই নাগরিকের বাসায় গিয়ে পণ্যগুলো পৌঁছে দিচ্ছে। ওই নাগরিকের কাছ থেকে পণ্যের মূল্য নিয়ে তা আবার সংশ্লিষ্ট দোকানদারকে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনো সার্ভিস চার্জ নেয়া হচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন :