পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ [২] বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। সৃষ্ঠ ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে এরই মধ্যে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে সব মাছ ধরা ট্রলার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রায় থাকতে বলা হয়েছে। সাগর উত্তল থাকায় জেলার সব ধরণের মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে সমুদ্র থেকে উপকূলে ফিরেছেন জেলেরা। কিছু ট্রলার এখনও ফিরে আসতে না পারলেও কাছাকাছি এসেছেন এমনটা জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি। জেলেরা উপকূলে ফিরে আসায় তেমন জীবনহানির সম্ভাবনা নেই।
[৩] বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় বেশিরভাগ মাছ ধরার ট্রলার ঘাটে ফিরে এসেছে। যারা আসতে পারেনি তারাও কাছাকাছি এসেছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।
[৪] ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পানের’ প্রভাবে উপকূলের ফসলের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টির কারণে পরিপক্ব হয়ে ওঠা এসব ফসলের বেশির ভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে মুখডাল, সূর্যমুখি, ভুট্টা, চিনা বাদাম, মরিচ, বোরো ধান, গ্রীষ্মকালীন সবজি, আম, কাঁঠাল ও লিচুর মতো ফলের ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এ কারণে কৃষি বিভাগ থেকে তা সংরক্ষণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে ২০ মে ভোরে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। এ কারণে কর্তন উপযোগী সকল ফসল অতি দ্রুত সংগ্রহ করার জন্য কৃষকদের মাইকিং করে অনুরোধ করা হয়েছে।
[৫] অন্যদিকে আম্পান মোকাবিলায় গত রোববার উপজেলা প্রশাসনের জরুরি সভা করা হয়। এ সময় উপজেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৭৪টি সাইক্লোন শেল্টারসহ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইতোমধ্যেই সব সাইক্লোন শেল্টারগুলো বসবাসযোগ্য করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসূচি (সিপিপি), রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তত রয়েছেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও রোভার স্কাউটের সদস্যরাও যেকোনো ধরনের সহায়তা করবেন।
[৬] পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ূন কবির সাংবাদিকদের জানান, পাথরঘাটা উপকূলবর্তী হওয়ায় বেশি ঝুঁকিতে থাকায় আমরা সতর্ক রয়েছি। দুর্যোগ থেকে জানমাল রক্ষার্থে সব ধরনের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। মানুষকে নিরাপদে রাখতে ৭৪টি আশ্রায়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :