শেখ সাইফুল কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি: [২] করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাগেরহাটের শরনখোলায় সপ্তাহের ব্যাবধানে দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
[৩] সম্পত্তি এবং পাওনা টাকার বিরোধ নিয়ে পৃথক এ হত্যাকান্ড গুলো সংঘঠিত হয়েছে বলে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন। তবে, এ ঘটনায় শরনখোলা থানায় দুইটি হত্যা মামলায় নারী-পুরুষসহ- ৯ব্যাক্তিকে কে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
[৪] হত্যাকান্ডের পর তাৎক্ষনিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মোড়েলগঞ্জ সার্কেল) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম এবং শরনখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি প্রত্যক্ষভাবে অবগত হলেও গত ৯দিনে জড়িতদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
[৫] নিহতের স্বজনসহ স্থানীয়দের সুত্রে জানায়, উপজেলার ৩নং রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মৃতঃ শাহ-আলম খন্দকারের বাড়ীর সীমানা নির্ধারনের মাত্র তিন হাত জায়গা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে ৮মে, সকালে প্রতিবেশি মনিরুজ্জামান দুলাল খন্দকারের নেতৃত্বে ৬/৭ ব্যক্তি একজোট হয়ে দিন মজুর মোঃ শাহ আলম খন্দকার (৬০) কে পিটিয়ে হত্যা করে।
[৬] এ ঘটনায় তার স্ত্রী মোসাঃ সাহিদা বেগম (৫০) বাদী হয়ে প্রতিবেশি মনিরুজ্জামান দুলাল খন্দকার (৪০), শাহজাহান খন্দকার (৫৫), আঃ লতিফ খন্দকার (৫২), নাইম হোসেন লিমন খন্দকার (২০),মাহাবুবা সুলতানা শাবানা (৪২) এবং মোসাঃ নাছিমা বেগম (৪০)কে অভিযুক্ত করে ১০মে, রাতে শরনখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দ্বায়ের করেন।
[৭] অপরদিকে, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ জের ধরে ১৪মে, দুপুরে বাবা ও ছেলের পিটুনিতে ঘটনাস্থলে মারা যান উপজেলার ধানসাগর গ্রামের বাসিন্দা মৃতঃ শামসুল হক শিকদারের ছেলে দিন মজুর আঃ সবুর শিকদার (৫০)।
[৮] পরে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৪মে, রাতে শরনখোলা থানায় নিহত সবুরের আপন ভগ্নিপতি মোঃ আলতাফ শেখ (৫৫),তার স্ত্রী-মোসাঃ-শুরমা বেগম (৪৫) এবং তাদের ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন রনি (ওরফে) প্রিন্স (২৫) কে দায়ী করে একটি হত্যা মামলা রজু করেন।
[৯] প্রকাশ্য দিবালোকে দুই দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যা করেও অনেকটা হাসি মুখে এলকা থেকে পালিয়ে যায় খুনীরা ।
[১০] এ বিষয়ে শরনখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান,অভিযুক্তদের গ্রেফতারে জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত অব্যাহত রয়েছে । সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :