আশরাফ আহমেদ, হোসেনপুর প্রতিনিধি: [২] বিয়ের প্রলোভনে লম্পট এর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারা এক কিশোরী। সে এখন ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জননী। কিন্তু ওই লম্পট এখন সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে ওই কিশোরী গ্রামের উচ্চ শ্রেণীর লোকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার আশায়।
[৩] জানা যায়, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মাধখলা গ্রামের (বড়বাড়ির) মিরাজ উদ্দিনের অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৬ বছরের কিশোরী রাহিমাকে বিয়ের প্রলোভনে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। প্রতিবেশী মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ আবু বাক্কার (৩০)।
[৪] ধর্ষক আবুবাক্কার বাড়ির লোকজনের গতিবিধি ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন ও রাতের আধারে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের ফলে ১৬ বছরের কিশোরী রাহিমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাওয়ার ফলে আবুবাক্কার কে জানানো হলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
[৫] গত ৯ মে তারিখে ভিকটিম রাহিমা একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। রাহিমা ও তার পরিবার কন্যা সন্তানের পিতৃত্বের দাবি ও তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে বারবার আবুবাককার ও পরিবারের লোকজনদের আকুতি-মিনতি করেও স্ত্রী ও সন্তানের পরিচয় পাচ্ছে না। এমনকি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানোর পরও ভুক্তভোগী পরিবারটির সমাধানে কেউ এগিয়ে আসছে না।
[৬] ভুক্তভোগী রাহিমার পিতা মিরাজ উদ্দিন জানান ,আমার মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া পাশবিক বিষয়ের কোন বিচার এলাকায় পেলাম না। তিনি আরো বলেন ,আমি আইনের আশ্রয় নিয়ে মামলা করব।
[৭] ভিকটিম রাহিমা জানান ,আবু বাক্কার আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা ও আমার সন্তানের স্বীকৃতি দিতে বারবার অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।
[৮] এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে মামলা হলে এর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পিাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :