দেবদুলাল মুন্না: [২] উদ্দেশ্য,শৃঙ্গের একটি অংশ দখল করা।
[৩] এ তথ্য দিয়েছে কাউন্টার পাঞ্চ ও দ্য ওয়াল।এ দুটি বার্তা সংস্থায় জানায় গত মাসের ৩০ তারিখে দলটি শুরু করেছে এ অভিযান। চীনের এই এভারেস্ট অভিযানের পোশাকি নাম মাউন্ট চোমোলাংমা। কারণ তিব্বতি ভাষায় এভারেস্ট শৃঙ্গের নাম চোমোলাংমা।
[৪] গত ২৮ এপ্রিল চিনের সরকারি খবরের চ্যানেল সিজিটিএনে একটি খবরে মাউন্ট এভারেস্টের একটি ছবি প্রকাশ পায়। মাউন্ট এভারেস্টের মাথায় সূর্যরশ্মির অপূর্ব বলয় দেখা গিয়েছে সে ছবিতে। ছবিটি যে অপূর্ব সুন্দর, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সমস্যা বাঁধিয়েছিল তার ক্যাপশন। চিন ওই ছবির ক্যাপশনে লিখেছিল,‘সূর্যের এক অদ্ভুত বলয় দেখা গিয়েছে মাউন্ট চোমোলাংমার মাথায়, যা মাউন্ট এভারেস্ট নামেও পরিচিত। তার ওপরের আকাশে এ দৃশ্য দেখা যায়। এটা চিন-তিব্বত স্বশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।’ অর্থাৎ এভারেস্টকে নিজেদেরই বলে দাবি করেছিল তারা।
[৫]ভারতীয় সাবেক কুটনীতিক আর ভি ভার্মা বলেন, ১৯৬০ সালে নেপাল ও চিনের মধ্যে যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়, তাতে মাউন্ট এভারেস্টকে দুই দেশের মধ্যে ভাগ করা হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, শৃঙ্গের দক্ষিণ অংশটি থাকবে নেপালের অধিকারে, আর উত্তর দিক থাকবে চিন-তিব্বত স্বশাসিত অঞ্চলের আওতায়। যদিও সেই অংশকেও বরাবরই নিজেদের বলে দাবি করে এসেছে চিন।এ অংশটি সম্পূর্ণ দখল করলে ভারতকে চাপে রাখতে পারবে বলে মনে করছে চীন।
আপনার মতামত লিখুন :