মুসবা তিন্নি : [২] পৃথিবীতে এক অলৌকিক মাজার হযরত আব্বাস আলামদার (রা:) এর। উনি কারবালার ময়দানে শহিদ হয়েছিলেন।তার মাজার থেকে অনবরত পানি বের হচ্ছে, । ইরাকের কারবালায় ইমাম হুসাইন (রা:) এর মাজারের থেকে ৩০০মিটারের মত দূরে অবস্থিত।
[৩] ইমাম হুসাইন (র) এর আওলাদ, শিশু আলী আজগরের জন্য পানি আনতে গিয়ে কারবালার প্রান্তরে, কুখ্যাত এয়াজিদ বাহিনীর হাতে, শহীদ হলেন হযরত আব্বাস অালান্দার (র)।
[৪] কারবালার প্রান্তর যখন চারদিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এয়াজিদ বাহিনী, এমনকি ফোরাত নদীও । এদিকে রাসূলে পাকের আওলাদের তাঁবুতে একফোঁটা পানিও নেই । কচি কচি শিশুরা পানির জন্য ছটফট করে যাচ্ছে । ইমাম হুসাইন (র) এর, ছয় মাসের দুধের শিশু আলী আজগরের অবস্থা আরো করুন । পানিতো নেই, এমনকি মায়ের বুকের দুধও শুকিয়ে গেছে পানির অভাবে । শিশু আলী আজগর বাবা মায়ের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে একফোঁটা পানির জন্য । এ করুন দৃশ্য দেখে হযরত আব্বাস আর বরদাশত করতে পারলেননা ।
[৫] পানির মশক নিয়ে দুর্বার গতিতে ছুটে গিয়ে এয়াজিদ বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে ফোরাত নদী থেকে পানি ভরে কাঁধে নিলেন । তিনি নিজে কিছুটা পানি পান করতে চেয়েও শিশু আজগরের তৃণ্ষাত্ত চেহারার কথা মনে পড়ায় পানি পান করলেননা ।এসময় তাকে হঠাৎই ঘিরে ফেলল যালিম এয়াজিদের দল । তিনি এয়াজিদের বূহ্য ভেদ করে কিছুদূর অগ্রসর হলে পেছন থেকে অনবরত তীর নিক্ষেপ করতে থাকে এয়াজিদ বাহিনী, আরো কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর এয়াজিদ বাহিনীর একজন হযরত আব্বাসের ডান হাত কেটে ফেলেন । তিনি ঐ অবস্থায় মশক বাঁচিয়ে বাম হাতে নিলে ঐ যালিম তার বাম হাতও কেটে ফেললেন ।
[৬] তারপরও তিনি মশকটি চরম কষ্টে দাঁতে কামড়ে ধরে ছুটে চললেন । বীর আব্বাসের এই বীরত্ব দেখে যালিম এয়াজিদিদের আর সহ্য হলোনা , তারা এক সাথে ঝাঁপিয়ে পড়ে হযরত আব্বাসকে শহীদ করে দিলেন । এদিকে পানির জন্য ছটফট করতে থাকা দুধের শিশু হযরত আজগরের জন্য পানিও আর হলোনা ।
[৭] আর এইটা হল,কারবালার ময়দানে, পানির পিপাসায় শহীদ গনের মধ্যে অন্যতম, সেই শহীদ " হযরত আব্বাস আলান্দার (র:)" এর মাজার শরীফ, ( ইরাক ) যার মাজার থেকে, সেই দিন থেকে এখনো পর্যন্ত,,দিবা রাত্রী,অলৌকিক ভাবে পানি বের হচ্ছে।
সূত্র : ইতিহাস ও মিথলজি
আপনার মতামত লিখুন :