সুজিৎ নন্দী : [২] স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বারবার বলার পরও কারও বাড়িতে যদি এডিস মশার প্রজননস্থল পাওয়া যায়, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হবে। অন্যান্য যেসব মামলা দেওয়ার সুযোগ আছে, সেগুলোও দেওয়া হবে। তিনি আরো বলে, এডিস মশা আমাদের আবাসিক-অনাবাসিক ভবনে জন্ম নেয়। বিশেষ করে নির্মাণাধীন ভবন বড় হুমকি। ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্নভাবে সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। আপনাদের জমিয়ে রাখা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। এটি স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।
[৩] আজ রাজধানীর বারিধারা এলাকায় এডিস মশা নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চিরুনি অভিযান পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
[৪] মন্ত্রী আরো বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে এই ঘোষণা আমরা আগেই দিয়েছি। এর মধ্যে জরিমানাও করা হয়েছে। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট আছে। আজ বলে যাচ্ছি, যারা এখানও মশা প্রজননে উৎসাহিত করছেন এবং মানুষের জানমাল ও জীবন হুমকির মুখে ফেলছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[৫] এ সময় ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা অর্থদন্ড দিলাম, কারাদন্ড দিলাম। এরপরও অনেকেই বিষয়টি সিরিয়াসলি নিচ্ছেন না। এখন সময় এসেছে সমাজে তাদের হেয় প্রতিপন্ন করার। আপনারা এতবড় বিল্ডিং বানাচ্ছেন, কিন্তু মশার কারখানা বন্ধ করছেন না।
[৬] তিনি বলেন, আমরা বলেছি এডিস মশার প্রজননের জন্য ৫২ শতাংশ ঝুঁকি হাইরাইজ বিল্ডিং। ২৫ শতাংশ নির্মাণাধীন বিল্ডিং। আজ যারা ভবন নির্মাণ করছেন, তিনি হয়তো অনেক টাকা ও ক্ষমতার মালিক। কিন্তু তাদের অসতর্কতার কারণে আমরা সবাই ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছি। এ সময় ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :