ইয়াসিন আরাফাত : [২] ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সক্রিয় বিভিন্ন সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর অন্তত ২২ জন নেতাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। এই প্রথমবারের মতো মিয়ানমার ভারতকে এ ধরনের সহযোগিতা করল – এবং এত দিন মিয়ানমারে ঘাঁটি গেড়ে থাকা এই জঙ্গী নেতাদের বৃহস্পতিবার বিকেলেই আকাশপথে ইম্ফল বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে। বিবিসি বাংলা
[৩] এই মুহুর্তে ওই নেতাদের আসামের রাজধানী গুয়াহাটির একটি হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হযেছে – এবং তাদের লালারসের (সোয়াব) নমুনা কোভিড পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
[৪] পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, এই পদক্ষেপ ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতারই আর একটি প্রমাণ – এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতও যে মিয়ানমারকে কখনওই তেমন চাপ প্রয়োগ করবে না তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত।
[৫] এর আগে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির নেতাদের ধরার ক্ষেত্রে প্রতিবেশী ভুটান ও বাংলাদেশের সক্রিয় সহযোগিতা পেলেও মিয়ানমারের কাছ থেকে এই ধরনের সাহায্য আগে কখনো পায়নি ভারত।
[৬] ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে ভুটানের সেনাবাহিনী সে দেশের অভ্যন্তরে আলফা-সহ যে সব গোষ্ঠীর শিবির ছিল, তাদের বিরুদ্ধে 'অপারেশন অল ক্লিয়ার' পরিচালনা করে ওই সব শিবিরগুলো কার্যত নির্মূল করে দেয়।
[৭] এছাড়া বাংলাদেশে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওযামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে অরবিন্দ রাজখোয়া, অনুপ চেতিয়ার মতো শীর্ষস্থানীয় আলফা নেতাদের এবং বোড়ো আন্দোলনের নেতাদেরও ভারতের হাতে একে একে তুলে দেয়া হয়েছে – পরে এই নেতারা ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনাতেও যোগ দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :